নিজস্ব প্রতিবেদক:
কেরানীগঞ্জে গত এক মাস ধরে শুরু হয়েছে অসহনীয় লোডশেডিং। প্রতি ঘণ্টায় লোডশেডিং হচ্ছে। এমতাবস্থায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি।
এলাকাবাসী জানান, গত এক মাস ধরে কেরানীগঞ্জে তীব্র লোডশেডিং শুরু হয়েছে। একদিকে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও বাড়তে থাকে। দুপুরে এ অবস্থা প্রকট আকার ধারণ করে। রাতে ঘুমানোর সময়ও লোডশেডিং থেকে রেহাই পাচ্ছে না স্থানীয়রা। এ অবস্থা চলতে থাকলে রাস্তায় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকাবাসী।
ব্যবসায়ীরা জানান, বন্যা ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর লোডশেডিং তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধান চেয়েছেন তারা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এলাকার বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণী বিতান ঘুরে দেখা গেছে, লোডশেডিংয়ের কারণে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। জেনারেটর দিয়ে বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সচল রাখার চেষ্টা চলছে। রাতে অনেক স্থানে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় বেড়েছে চুরি ও ছিনতাই। লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে বাসা বাড়িতেও লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছেন না।
কেরানীগঞ্জে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সঙ্গে কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অন্যদিকে, অনেক গ্রাহক এ বিষয়ে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করেছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ জিঞ্জিরা, কেরানীগঞ্জ, আব্দুল্লাহপুর অফিসে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে বলে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যার দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
/আল মামুন