ফলন বাম্পার হলেও ধানের উৎপাদন খরচও পাচ্ছেন না কৃষক। শুধু লোকসানে বিক্রি নয়, রাস্তায় ধান ফেলে এই দুরবস্থার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা। নিজের পাকা ধানে আগুন ধরিয়ে দিয়েও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এক ক্ষুব্ধ কৃষক। এমন পরিস্থিতিতে কৃষককে সুরক্ষা দিতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে কয়েক গুণ।
সরকার মনে করছে, চাল আমদানি নিরুৎসাহিত হলে দেশের ধানচাষিরা এর সুফল পাবেন। গতকাল বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চাল আমদানির ওপর শুল্ক বাড়ানোসংক্রান্ত এসআরও (স্ট্যাচুটরি রেগুলেটরি অর্ডার) জারি করে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চালের ওপর বর্তমানে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ বহাল থাকবে। এর সঙ্গে রেগুলেটরি ডিউটি ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি এসব পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হয়েছে। ফলে চাল আমদানির ক্ষেত্রে মোট করভার ৫৫ শতাংশে (কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ এবং রেগুলেটরি ডিউটি ২৫ শতাংশ ও অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ) উন্নীত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চলতি (২০১৮-১৯) অর্থবছরের ১০ মাসে প্রায় তিন লাখ তিন হাজার টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এতে দেশীয় উৎপাদন খরচের চেয়ে কম মূল্যে চাল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। ফলে প্রান্তিক কৃষকরা আর্থিকভাবে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষাকল্পে প্রধানমন্ত্রীর সদয় অনুশাসন অনুযায়ী চালের ওপর আমদানি শুল্ক কর বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ধানের দামের সঙ্কটের দ্রুত সমাধান হবে।