চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুরের কাউমি মাদ্রাসার পিছনে মাথাভাঙ্গা নদীর তীর থেকে কঙ্কাল উদ্ধার করেছে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল শনিবার বিকাল ৪টার দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। কঙ্কালের পাশে মহিলাদের ভ্যানেটি ব্যাগ ও পরনের কাপড় চোপড় পড়ে থাকায় পুলিশ ও এলাকাবাসী ধারনা করছে এটি অজ্ঞাত কোন মহিলার কঙ্কাল।
স্থানীয়রা জানায়, বিকালে জনৈক ব্যক্তি নদীতে গোসল করতে গিয়ে নদীর তীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষের হাড় গোড় দেখতে পায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হযরত আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে মাথার খুঁলি ও হাড় গোড় দেখে থানা পুলিশের খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাথার খুলি ও হাড় গোড় উদ্ধার করে।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত কঙ্কালটির পাশে পড়ে থাকা ভ্যানেটি ব্যাগ ও পরিধেয় কাপড় চোপড় দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি কুষ্টিয়া জেলার দৌলৎপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামের মধু খানের মেয়ে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী মিম খাতুন কঙ্কাল। একই এলাকার একটি ছেলের সাথে মাস তিনেক আগে মিম বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকেই কলেজ ছাত্রী মিম নিখোঁজ রয়েছে।
সূত্রটি আরও জানায়, আজ রোববার আলমডাঙ্গার হাড়দি এলাকা থেকে কলেজ ছাত্রী মিম খাতুনের নিকট আত্নীয়রা দামুড়হুদা মডেল থানায় এসে উদ্ধারকৃত ভ্যানেটি ব্যাগসহ পরনের কাপড় চোপর দেখে কঙ্কালটি শনাক্ত করবেন। মিমের আত্নীয়স্বজনরা ভ্যানেটি ব্যাগ ও পরিধেয় কাপড় চোপড় শনাক্ত করলে নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি মিম না অন্য কোন নারীর কঙ্কাল।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নদীর কিনারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাক কঙ্কালের হাড় মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত কঙ্কালের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডি.এন.এ টেষ্ট করাতে ঢাকায় পাঠানো হবে। এছাড়া এই হত্যার সাথে জড়িতদের বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে কিছু ক্লু পাওয়া গেছে। সেটাকে সামনে রেখে পুলিশ হত্যাকারীদের আটক করতে অভিযান শুরু করেছে। তবে কঙ্কালের পরিচয় সম্পর্কে ওসি কোন মন্তব্য করেননি।