কুড়িগ্রামে কমর্রত পুলিশের এএসআই সেলিম জাহাঙ্গীর নিজ রিভলবার দিয়ে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে এএসআই এর ভাড়াটে বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিম জাহাঙ্গীরের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে সদর থানার এএসআই কামরুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেলিম জাহাঙ্গীর (৩৫) সদর থানার সদর ফাঁড়িতে কমর্রত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে। বাবার নাম আবুল কালাম আজাদ। জাহাঙ্গীর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তিনি ২০০৭ সালে এএসআই হিসেবে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।
কুড়িগ্রাম সদর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই কামরুজ্জামান জানান, ‘বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর থানাধীন হাটিরপাড় এলাকায় নিজের বাসায় বসে রিভলবার পরিষ্কার করছিলেন জাহাঙ্গীর। তার ছেলে জানিয়েছে, এ সময় হঠাৎ মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে গুলি করেন তিনি। জাহাঙ্গীরের ছেলে (৮) ছাড়াও এসময় বাসায় ছিলেন তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, বাবা ও মা। তবে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কোনও কারণ জানা যায়নি।’
বাসার গৃহকর্মী নূরজাহান পুলিশকে জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সু-সম্পর্ক ছিল এবং কোনও কলহ তার চোখে পড়েনি। আর ঘটনার সময় জাহাঙ্গীর ওই ঘরে একা ছিলেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শাহীনুর রহমান সর্দার জানান, লাশ দেখে মনে হচ্ছে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়েই গুলি করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খান জানান, ঘটনা জানার জন্য এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।