কুষ্টিয়ায় বোরো ধানের ফলন ভালো

ফাইল ছবি

কৃষি অর্থনীতি

কুষ্টিয়ায় বোরো ধানের ফলন ভালো

  • জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল, কুষ্টিয়া
  • প্রকাশিত ২২ মে, ২০১৯

কুষ্টিয়ায় রবি মৌসুমে বোরো ধান কাটা ও কেনাবেচা শুরু হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ফলন ভালো পাচ্ছেন কৃষক; কিন্তু গতবারের তুলনায় দাম কম পেয়ে হতাশ তারা। গত বছর মৌসুমের শুরুতে যে ধান বিক্রি হয়েছে ৭৪০ টাকা মণ দরে, সেই ধান এবার বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ টাকায়। মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, এবার বোরোর ফলন ভালো হলেও বাজার কৃষকরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। দাম না পেলে কষ্ট করে আবাদ করা ধান নিয়ে তারা হতাশ হবেন। বাজার মন্দার বিষয়টি খতিয়ে দেখা অতীব প্রয়োজন।

কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় যে কোনো ফসল আবাদের জন্য মাটির গুণগত মান খুবই ভালো। এজন্য কৃষকরা বেশি পরিমাণ জমিতে ধান আবাদ করে থাকেন। ফলনও ভালো পান। চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ৯০ ভাগ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ধান চাষ হয়েছিল। আবহাওয়া ভালো ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় ধানের ফলন খুবই ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৮ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ করেছে কৃষক। জেলার কয়েকটি বাজারেও নতুন ধান উঠেছে। কৃষকরা ধান বিক্রি করতে হাটে হাটে ঘুরছেন। জেলার মধ্যে ধানের সবচেয়ে বড় হাট সদর উপজেলার আইলচারা ধানের হাট। এখানে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম খাজানগর এলাকার চাল ব্যবসায়ীরা ধান কিনে থাকেন। আইলচারা হাটে সপ্তাহের দুই দিন ধান কেনাবেচা হয়। এই হাটে গত বছরের এই দিনে বোরো ধান মণপ্রতি বিক্রি হয়েছিল ৭৪০ টাকা। এ বছর বোরো ধানের দাম উঠেছে মণপ্রতি ৬৮০ টাকা। মৌসুমের শুরুতে এমন দাম পেয়ে হতাশ কৃষক। আইলচারা হাটে ইঞ্জিনচালিত নসিমন ও ট্রলিতে করে কৃষকরা হাটে ধান নিয়ে হাজির হয়।

কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করে ঘরে তুলতে (জমি প্রস্তুত থেকে মাড়াই শেষ করা পর্যন্ত) প্রায় ১৫ হাজার ৮৪৪ টাকা খরচ হয়েছে। ধান ও বিচালি বিক্রি করে ঘরে আসছে প্রায় ১৯ হাজার ৪৫০ টাকা। অর্থাৎ চার মাস জমিতে খাটুনিতে বিঘাপ্রতি প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। এই লাভ দিয়ে কিছুই হয় না।

কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিকের পরামর্শ হচ্ছে, কৃষকদের কৌশলী হতে হবে। দাম যেহেতু কম, সেহেতু ধান বিক্রি না করে বাড়িতে কয়েকদিন সংরক্ষণ করে রাখতে পারে কৃষক। দাম বাড়লে সে সময় বিক্রি করার পরামর্শ দেন তিনি। তবে দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন জায়গায় কথা বলে থাকেন। জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হাটগুলোতে তদারকি বাড়ানো হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads