কুলাউড়ায় অন্তসত্ত্বা গৃহবধুর লাশ উদ্ধার

কুলাউড়ায় অন্তসত্ত্বা গৃহবধুর লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

কুলাউড়ায় অন্তসত্ত্বা গৃহবধুর লাশ উদ্ধার

  • কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩১ মে, ২০১৯

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া হাজীপুর ইউনিয়রে কটারকোনা গ্রামের নিজ ঘর থেকে থেকে শাহানারা বেগম শানাই (৩০) নামের এক ৮ মাসের গর্ভবতী গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শাহানারা বেগম শানাই (৩০) একই গ্রামের মসুদ আলীর মেয়ে। মনফর ও শানাই দম্পতির ১ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। 

আজ শুক্রবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে শাহানারা বেগমের বিয়ে হয় একই গ্রামের মুজফফর আলীর ছেলে মনফর আলীর সাথে। বর্তমানে শাহানারা (শানাই) ৮ মাসের গর্ভবতী। গত বুধবার রাতে শানাই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর অবস্থা অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী মনফর আলী প্রথমে পাশর্^বর্তী কমলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন সেখানকার চিকিৎসকরা। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালেও গৃহবধুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। মৌলভীবাজার থেকে সিলেটে যাওয়ার পথে দুপুর ১২টার দিকে শানাইর মৃত্যু হয় বলে জানান যায়। পরে সিলেট হাসপাতাল না গিয়ে গৃহবধুর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

তবে গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকের সন্দেহ সৃষ্টি হলে পুলিশ রাত আনুমানিক ৯টায় দিকে মনফর আলীর বাড়ি থেকে শাহানারার লাশ উদ্ধার করে কুলাউড়া থানায় নিয়ে আসে।

নিহত গৃহবধুর ভাই বদরুল ইসলাম জানান, দুপুরে জানতে পারি আমার বোন মারা গেছেন। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে আমাদের সন্দেহ হয়েছে। এর আগে আমার বোন অসুস্থ হলেও কেউ আমাদেরকে জানায়নি। মৌলভীবাজার থেকে সিলেট নিয়ে যাওয়ার কথাও আমাদেরকে জানানো হয়নি। আমার বোনের স্বামী বোনকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। এছাড়াও সে আরেকটি বিয়ে করেছে আমার বোনের অনুমতি ছাড়া। এ ব্যাপারে আমরা থানায় অভিযোগ করবো।

থানায় উপস্থিত নিহতের গৃহবধুর স্বামী মনফর আলী বলেন, বুধবার রাতে রান্না করার সময় গরমে শাহানারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাতে শ্বাস কষ্ট বাড়তে থাকে। সকালে কমলগঞ্জ এবং পরে মৌলভীবাজারে নিয়ে গেলে সেখান থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সিলেট যাওয়ার পথে আমার স্ত্রী মারা যায়।

এদিকে মনফর আলী দুই বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ওই স্ত্রীর ঘরে ৬ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।

কুলাউড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক কানাই লাল চক্রবর্তী জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে সন্দেহ প্রকাশ করলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহত গৃহবধুর পিতার পরিবার থেকে কেউ অভিযোগ দিলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads