কুলাউড়া থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ঈদ যাত্রার টিকিট নিয়ে চলছে হাহাকার। অনেকে ভীড় এড়াতে কাউন্টারে না গিয়ে অনলাইনে দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানে চলছে গলাকাটা ব্যবসা। ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, অনলাইনের ডাকাতের চেয়ে ব্ল্যাকার ভালো।
কুলাউড়া শহরের মিলি প্লাজায় কম্পিউটার সলিউশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান টিকিট বিক্রি করে থাকে। বড়লেখা থেকে টিকেট কিনতে আসা রফিক উদ্দিন জানান, ছেলে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে যাবে। ঢাকায় বিমানবন্দর থেকে তাকে বিদায় দিতে ১ জুন পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা যাবেন। আবার ফিরবেন ২ জুন কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনে। ঈদের মৌসুমে টিকিটের সঙ্কট জেনে তিনি ২০ মে কম্পিউটার সলিউশনের দোকানি শাকের আহমদের দ্বারস্থ হন। যাতায়াতের ৫টি টিকেটের মুল্য ১হাজার ৪০০ টাকা হলেও তার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা নেন দোকানি। নির্দিষ্ট গন্তব্যের টিকিট একটি কাগজে প্রিন্ট করে দেন। তাতে মুল্য লেখা হয় ২ হাজার টাকা। সেই কপি নিয়ে টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট মুল কপি প্রিন্ট নিলে সেখানে মুল্য লেখা ১হাজার ৪০০ টাকা। ভুক্তভোগী কুলাউড়া একে এনায়েত জিল্লুল কবির জানান, একটি ঢাকার প্রথম শ্রেণির টিকিটে তার কাছ থেকে ৪০০ টাকা বেশি রেখেছে ওই দোকানি।
এত টাকা বেশি কেন রাখা হয়? –এপ্রশ্নের জবাবে কম্পিউটার সলিউশনের মালিক শাকের আহমদ কোন সুদোত্তর দিতে পারেননি। শুধু বলেন, তাদের অনেক খরচ। এখানে সরকারি কোন নিয়ম নেই। অনলাইনে অনেক ঝামেলা। তাই টাকা বেশি রাখেন।
কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আফতার উদ্দিন জানান, অনলাইনে টিকিটের কত মুল্য রাখবে। অধিক মুল্য রাখলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাবে কি-না?-এব্যাপারে তাদের কাছে কোন সুস্পষ্ট তথ্য নেই। ফলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্তু হলে আপাতত তাদের কোন করণীয় নেই। স্টেশন থেকে টিকিট ক্রয়ে কেউ বেশি অর্থ নিলে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান আছে। অনলাইনের চার্জ হিসেবে যদি টিকেট প্রতি ২০ টাকা বেশি নেয়া হয়, সেটাই বেশি। ১শ থেকে ৪০০ টাকা বেশি নেয়া অমানবিক। তারচেয়ে কাউন্টারে দাঁড়িয়ে কষ্ট করে টিকিট কেনাই ভালো।