কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমির সংকট নিরসনে সোচ্চার সংস্কৃতি কর্মীরা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমির সংকট নিরসনে সোচ্চার সংস্কৃতি কর্মীরা

  • কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৭ জুলাই, ২০১৯

কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমির বিদ্যুৎ ট্রান্সফর্মার স্থাপন, একাডেমির সংস্কার ও পূর্নাঙ্গ সংস্কৃতিক কমপ্লেক্স স্থাপনের দাবীতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন কুমিল্লার সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

সাংস্কৃতির পীঠস্থান কুমিল্লার একটি শিল্পকলা একাডেমি ভবন স্থাপন করা হলেও বিভিন্ন সমস্যার কারণে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এক বছর চার মাস আগে একাডেমির নিজস্ব ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎতের অভাবে পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে আছে। একাডেমির মঞ্চটিও নষ্ট হয়ে গেছে বহুদিন। এটিকে একটি পূর্নাঙ্গ কমপ্লেক্স না করায় সংস্কৃতিক কর্মকান্ড অগ্রগতিতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে একাডেমির স্বাভাবিক কার্যক্রমসহ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম।

এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে কুমিল্লার সাংস্কৃতিক কর্মী ও সুধীজনরা একাডেমির প্রাঙ্গনে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারক লিপিও দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সাংস্কৃতিক কর্মী এডভোকেট শহীদুল হক স্বপন বলেন, কুমিল্লা হচ্ছে সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জেলা। এ জেলার সাংস্কৃতির প্রাণ কেন্দ্র হলো শিল্পকলা একাডেমি। এটিকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। সাংস্কৃতি বান্ধব সরকারের আমলে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে বিদ্যুৎ থাকবে না, সংস্কারের অভাবে নাট্যকর্মীরা কাজ করতে পারবেনা এটা কী ভাবে হয়? এর মত দুঃখ জনক বিষয় আার কী হতে পারে।
নাট্য সংগঠন সংলাপ পরিচালক শাহজাহান চৌধুরী বলেন, পথিকৃত কুমিল্লা সংস্কৃতির শহর হিসাবে পরিচিত। এ শহরের শিল্পকলা একাডেমিতে বিদ্যুৎ থাকবেনা এটা মানা যায়না। তিনি শিল্পকলা একাডেমির অবকাঠামোগত উন্নয়ণ দাবি করেন।

জেলা কালচারাল কর্মকর্তা মাহাম্মদ আয়াজ মাবুদ জানান, শিল্পকলা একাডেমীর নিজস্ব সাবস্টেশনের ট্রান্সফরমারটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। বরাদ্ধ পেলেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীল বলেন, একাডেমির বিদ্যুৎ লাইন মেরামত, মঞ্চ সংস্কার এর জন্য অর্থ বরাদ্ধের জন্য সাংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ৩১ মে বজ্রপাতে ৩১০ কেভির ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যায়। এ ছাড়া ২০০১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই একাডেমির বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads