রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আজ ভোট। প্রার্থীদের মাসাধিককালের উৎসাহ-উদ্দীপনাময় প্রচার-প্রচারণা শেষে আজ চূড়ান্ত লড়াই। নির্বাচনী প্রচারণার সমাপ্তি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর। এখন সবার প্রতীক্ষা ফলাফলের।
এবারের মেয়র নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হচ্ছে। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঢাকা উত্তরে ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলাম, যিনি উপনির্বাচনে মেয়র হয়ে নয় মাস দায়িত্ব পালন করেছেন। আর দক্ষিণে রয়েছেন সাবেক এমপি ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। অন্যদিকে ঢাকা উত্তরে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ২০১৫ সালের নির্বাচনে দলটির সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল; তিনিও মূলত একজন ব্যবসায়ী। ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির মনোনয়নে মেয়র পদে লড়ছেন সাবেক মেয়র ও মন্ত্রী মরহুম সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তারা ছাড়া ঢাকা উত্তরে মেয়রপ্রার্থী আছেন আরো চারজন, আর দক্ষিণে এ সংখ্যা পাঁচজন। তবে দুই প্রধান দলের প্রার্থীরা ছাড়া অন্য প্রার্থীদের তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। তাদের কেউ কেউ পোস্টারও ছাপেননি। কাউন্সিলর পদে ঢাকা উত্তরের ৫৪টি পদে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন ২৫১ জন, আর ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আছেন ৭৭ জন। অপরদিকে দক্ষিণে ৭৫টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোটযুদ্ধে আছেন ৩৩৫ জন, আর ২৫টি সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮২ জন।
দুই সিটিতে মেয়র পদে ১৩ জন লড়লেও নগরবাসীর দৃষ্টিতে আছেন চারজন। তারা বড় দুই দলের প্রার্থী। ইতোমধ্যে এ চারজন তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। ২৬ জানুয়ারি ইশতেহার ঘোষণা করেন ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। তিনি তার ইশতেহারে ‘সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা’ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ৩৮টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর পরদিন নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন একই সিটির বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। তিনি ঢাকাকে ‘বিশ্বমানের আধুনিক নগরে’ রূপ দেওয়ার কথা বলেছেন ১৯টি দফায় ১৫০টি প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে। ২৮ জানুয়ারি ইশতেহার ঘোষণা করেন ঢাকা দক্ষিণে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন। তিনি তার ইশতেহারে ‘ঐতিহ্য আর আধুনিকতার সম্মিলন ঘটিয়ে ঢাকাকে সবার বাসযোগ্য বিশ্বমানের অত্যাধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন ১৬ দফায় ১৫৭টি প্রতিশ্রুতিতে। সর্বশেষ গত ২৯ জানুয়ারি ইশতেহার দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। তিনি তার ইশতেহারে পাঁচ দফায় ‘ঐতিহ্যের ঢাকা, সচল ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা ও উন্নত ঢাকা’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নগরকাসীকে। শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী এই চার প্রার্থীর ইশতেহারে কথার বা বক্তব্যের ভিন্নতা থাকলেও সবার লক্ষ্যই মোটামুটি এক। ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস উপযোগী নগরীতে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা, দিয়েছেন প্রতিশ্রুতি। তবে নির্বাচিত হলে তারা এসব প্রতিশ্রুতির কতটা বাস্তবায়ন করতে পারবেন সে প্রশ্ন থেকেই যায়। বিশেষত বিগত সময়ের অভিজ্ঞতার আলোকে নগরবাসীর মনে এ নিয়ে সংশয় জাগাটা অস্বাভাবিক নয়। কেননা অতীতেও সিটি নির্বাচনে এ ধরনের কথার ফুলঝুরি নগরবাসী উপহার পেয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা ধরা দিয়েছে খুবই কম।
এ নিবন্ধটি নিয়ে ‘বাংলাদেশের খবর’ যখন পাঠকের হাতে পৌঁছবে, তার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে যাবে। চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। পুনরুল্লেখ নিষ্প্রয়োজন, এবার ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে। বিষয়টি নিয়ে এত বিতর্ক হয়েছে যে, এ প্রসঙ্গে এখানে কথা বলা চর্বিত চর্বণের মতোই মনে হতে পারে। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল বিএনপি ইভিএমে ভোটগ্রহণের বিরোধিতা করেছে শুরুতেই। তাদের এ বিরোধিতার পেছনে যুক্তি হলো, এ প্রক্রিয়ায় নীরবে ভোট জালিয়াতির আশঙ্কা আছে। তারা এও বলেছে যে, সরকারের ইচ্ছা পূরণের জন্যই নির্বাচন কমিশন ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু বিএনপি নয়, অন্যান্য কয়েকটি রাজনৈতিক দলও ইভিএম নিয়ে আপত্তি করেছিল। অবশ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইভিএম বা কাগজের ব্যালট কোনোটাতেই তাদের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ইস্পাতকঠিন অনমনীয়তা প্রদর্শন করেছে। যদিও প্রথমদিকে সিইসি নূরুল হুদা ‘সব দল একমত হলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে’ বলেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো প্রবল আপত্তি তুললেও তা কানে তোলোর গরজ বোধ করেননি। এদিকে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের ‘নির্বাচন কমিশনেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই’ মন্তব্যকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে বিএনপি। তারা বলছে, খোদ কমিশনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা যখন কমিশনের অভ্যন্তরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে এমন প্রশ্ন তুলেছেন, তখন নির্বাচন কেমন হবে তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।
বিএনপি অবশ্য শুরু থেকেই বলে আসছে যে, তারা জানে নির্বাচনের ফলাফল কী হবে। তারা এ আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছে যে, নির্বাচন কমিশন সরকারদলীয় মেয়রপ্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করার সব আয়োজন সম্পন্ন করে রেখেছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবার পরপরই বলেছেন, এই সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়, তা প্রমাণ করতেই তারা সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আর দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপির সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়াকে ‘জেনেশুনে বিষপান’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তাছাড়া বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীও একাধিকবার তাদের নির্বাচনী প্রচারে সরকারি দলের কর্মীদের বাধাদান, হামলা, মামলা, গ্রেপ্তারের অভিযোগ এনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় ব্যক্ত করেছেন। তা সত্ত্বেও তারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকবেন এমন প্রত্যয়ের কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। মাঝখানে দুটি সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়া এবারের নির্বাচনী মাঠ মোটামুটি শান্তই ছিল। গাবতলী ও গোপীবাগের ঘটনার পর অনেকের মনেই শঙ্কা জেগেছিল, নির্বাচনী পরিবেশ সংঘাতময় হয়ে ওঠে কি না। তবে প্রার্থীদের সহিষ্ণুতা পরিবেশকে সহনশীল রাখতে সহায়তা করেছে এটা বলা যায়।
আজ ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে তা নিয়েও সন্দেহ-সংশয় রয়েছে অনেকের মনে। নানা কারণে ভোটের প্রতি সাধারণ মানুষের যে অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে তা অস্বীকার করার জো নেই। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ন্যূনতম ভোট পড়া তারই প্রতিফলন বলে মনে করেন অনেকে। উল্লেখ্য, ওই উপনির্বাচনে মাত্র ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটারের এই ‘আকাল’ গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল। তারা বলছেন, বিগত কয়েকটি বড় নির্বাচনে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের বর্জনের ফলে নির্বাচনের প্রতি মানুষেব আগ্রহ অনেকটাই কমে গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ঢাকা সিটি নির্বাচনে সর্বাধিক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগও নিয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন— এ আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে তাদের সন্তোষজনক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন চালিয়েছে ব্যাপক তৎপরতা। পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে এ সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা, ভোট দেওয়ার পদ্ধতি শেখানোসহ নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ভোটারদের হাতেকলমে ভোট দেওয়া শেখানোর জন্য আয়োজন করা হয়েছিল মহড়ার। নির্বাচন কমিশনের তৎপরতায় এটা প্রতীয়মান যে, তারা ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি চান। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে নানা ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি যে সংকটে পড়েছে, তা থেকে তারা বেরিয়ে আসতে চান। তবে তা কতটুকু সম্ভব হবে তা নিয়ে অনেকেরই সংশয় রয়েছে। কেননা ইভিএম নিয়ে জনমনে সৃষ্ট সংশয় এখনো দূর হয়নি। তাছাড়া ভোটকেন্দ্রে গোলমাল হতে পারে— এ আশঙ্কায় অনেক সাধারণ ভোটার কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। অবশ্য গত ২৬ জানুয়ারি দৈনিক কালের কণ্ঠ তাদের নিজস্ব জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে জানিয়েছে, এবারের সিটি নির্বাচনে ৬৮ শতাংশ ভোটার ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন। যদিও দুই সিটির ৫৪ লাখ ভোটারের ৩০০ জনের মধ্যে চালিত জরিপের ফলাফল এটি। অনেকেই মনে করছেন, পত্রিকাটির জরিপে ভোটের মাঠের বাস্তবতা ফুটে ওঠেনি। কেননা ইভিএম নিয়ে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি এখনো দূর হয়নি। এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘ইভিএমে ভোট কারসাজির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আপনি কাকে ভোট দিয়েছেন তা নিশ্চিত নয়। কারণ আগে থেকে তা শনাক্তের ব্যবস্থা করা হয়নি। আপনি এক মার্কায় ভোট দিলে তা অন্য মার্কায় কাউন্ট হতে পারে।’ (দৈনিক ইত্তেফাক, ২৬ জানুয়ারি ২০২০)। ইভিএম নিয়ে বিশিষ্টজনদের এমন বক্তব্য এবং বিরোধী দলগুলোর নেতিবাচক প্রচারণার বিপরীতে নির্বাচন কমিশন তাদের বক্তব্য খুব বেশি জোরালোভাবে তুলে ধরতে পারেনি। ফলে এ নিয়ে জনমনে সৃষ্ট সংশয়-শঙ্কার নিরসন হয়নি। তাই ‘এমন হলে ভোট দিয়ে লাভ নেই’— এ ধরনের নেতিবাচক ভাবনায় অনেক ভোটার কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন অনেকে।
এসব কারণেই এবারের ঢাকা সিটি নির্বাচনকে নির্বাচন কমিশনের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল। ইভিএমে ভোটগ্রহণসহ নানা প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে দেশবাসীর আস্থা অর্জন তাদের জন্য চ্যালেঞ্জই বটে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম একটি দৈনিককে বলেছেন, ‘আমরা একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যা যা করা দরকার সবই করেছি। একটি আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার এম. সাখাওয়াত হোসেন (অব.) বলেছেন, ‘আসলে নির্বাচন কমিশন মুখে তো বলছে তারা সুষ্ঠু ভোট উপহার দেবে। বাস্তবে তারা কতটুকু কাজ করছে, কর্মকর্তাদের কতটা জোরালো নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে— তার প্রতিফলন দেখা যাবে ভোটের মাঠে।’ (আমাদের সময়, ২৯ জানুয়ারি ২০২০)।
কথায় আছে, ‘সব ভালো তার, শেষ ভালো যার।’ নানা শঙ্কা-সংশয় সত্ত্বেও শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয়েছে সিটি নির্বাচনের প্রচারণা। আজ ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। কিন্তু ভোট দেওয়ার কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ পাওয়া যাবে কি না এ সংশয় অনেকের মনেই আছে। তাদের সে সংশয় দূর করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তারা যদি সে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে না পারেন, তাহলে অনেক হিসাবই পাল্টে যেতে পারে। ভোটকেন্দ্রে ভোটারস্রোতের পরিবর্তে দেখা দিতে পারে ‘আকাল’; যা এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের হতাশাকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। দেখা যাক দিন শেষে কী বার্তা আসে আজ।
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক