গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের সিনিয়র নার্স মুক্তি রানী দাসের (৩৪) মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মুনশুরপুর গ্রামের মনশাতলার স্বামীর বাড়ী থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুবকর মিয়া, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী, এসআই সাকিব হাসান।
এদিকে মরদেহ উদ্ধারের পর তা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাপাতালে মর্র্গে পাঠানো হয়ে ময়নাতদন্তের জন্য। মরদেহ উদ্ধার ও ময়নাতদন্তের বিষয়টি নিশ্চি করেছেন থানার ওসি।
নিহত মুক্তি রানী উপজেলার মুনশুরপুর গ্রামের রনী দাসের স্ত্রী। আড়াই বছরের তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের সিনিয়র নার্স ছিলেন।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা ঘরের দরজা খোলার চেষ্ঠা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে পাশের ঘরের প্লাস্টিকের সিলিং তুলে ঘরে প্রবেশ করে ফ্যানের সাথে ওরনা দিয়ে পেঁচানো মুক্তির মরদেহ দেখতে পায়। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর পাঠায় এবং জিজ্ঞেসাবাদের জন্য স্বামী রনী দাসকে থানায় নিয়ে আসে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবু বকর মিয়া জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটা আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা সম্ভব। মুক্তির পরিবারের লোকজন চাইলে হত্যা মামলা করতে পারবে। অন্যথায় অপমৃত্যু মামলা হবে। তবে মামলা যাই হইক ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।