আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বিএনপিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানালেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
এসময় তিনি বলেন, মিডনাইট ইলেকশনের সরকারের মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের সাহেব এখন স্বেচ্ছায় বিএনপির উপদেষ্টা হতে চলেছেন। সুতরাং খামোখা আওয়ামী লীগে থেকে তার লাভ কী, বরং ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বিএনপিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বিএনপির দরজা খোলা আছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতিনিয়ত বিএনপিকে উপদেশ দিচ্ছেন। সভা-সমিতি, মঞ্চ, গণমাধ্যম ও ব্রিফিংয়ে বিএনপির কি করা উচিৎ, বিএনপির পরিণতি কী হবে, বিএনপি নির্বাচন ভীতিতে ভুগছে, বিএনপি সংসদে যোগ দেবে ইত্যাদি নানা কথার খৈ ফোটাচ্ছেন প্রতিদিন। সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের সাহেব শালীনতা, ভব্যতার গুণমান বিবেচনা না করে বিএনপির বিরুদ্ধে ক্রমাগত উপদেশের ভাঙ্গা টেপ রেকর্ড বাজিয়েই চলেছেন।
তিনি আরো বলেন, এমনিতেই অনাচারের পাহাড়সম স্তূপে আওয়ামী নেতাকর্মীরা ভীতসন্ত্রস্ত, কখন কী হয় আতঙ্কে তাদের সারাদিন কাটে। বিভিন্ন এলাকায় তারা তলেতলে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা শুরু করেছে। নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আওয়ামী নেতাকর্মীরা আসলেই উদ্বিগ্ন। ক্ষমতার বৃক্ষ উপড়ে যাওয়ার পর অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গভীর দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সেজন্য স্বেচ্ছায় বিএনপির উপদেষ্টার আসনে বসতে চাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের সাহেবসহ অন্য নেতারা।
বিএনপির এ নেতা অভিযোগ করেন, বিএনপি সংসদে না গেলেও প্রতিনিয়ত বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে নিয়ে সংসদে বিষোদগার করছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগে বিজয় ছিল প্রত্যাশিত। ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে এবং জনগণ বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছে। এদেশে বাক-স্বাধীনতা শুধু একজনেরই আছে, তিনি হলেন ‘মিডনাইট ভোট’ এর প্রধানমন্ত্রীর। তিনি সবার বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে একাই লাগামহীন কথাবার্তা বলেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহিদা রফিক, নজমুল হক নান্নু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।