কাচা চামড়া রপ্তানির সুযোগ দিলে শিল্প হুমকির মুখে পড়বে: বিটিএ

ফাইল ছবি

আমদানি-রফতানি

কাচা চামড়া রপ্তানির সুযোগ দিলে শিল্প হুমকির মুখে পড়বে: বিটিএ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৪ অগাস্ট, ২০১৯

কাচা চামড়া রপ্তানির সুযোগ দিলে দেশের চামড়া শিল্প ‘হুমকির মুখে পড়বে’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন।

আজ বুধবার ঢাকার ধানমণ্ডিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা জানিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

সংগঠনের সভাপতি মো. শাহিন আহমেদ বলেন, কাঁচা চামড়া রপ্তানি করা হলে চামড়া শিল্প নগরীতে সাত হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে। সাভারের আধুনিক চামড়া শিল্প নগরী তখন কাঁচামালের অভাবে অকেজো হয়ে পড়বে। এই শিল্পের সাথে জড়িত বিস্তর জনগোষ্ঠী বেকার হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, সরকারের এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। আমরা সরকার ও জনগণকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, আগামী ২০ অগাস্ট থেকে আমরা সরকার নির্ধারিত দামেই লবণ দেওয়া চামড়া কেনা শুরু করব। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের বলব, আপনারা লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করুন।”

ট্যানারিগুলোর কাছে ৩০০ কোটি টাকা বকেয়া থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে শাহিন বলেন, “আড়তদাররা বকেয়া টাকা না পাওয়ার কথা বলে প্রান্তিক মানুষের কাছ থেকে কম দামে চামড়া কিনেছে। বড় আড়তদাররা এবার চামড়ার বাজারটাকে ম্যানুপুলেট করেছে।”

এই ট্যানারি মালিকের দাবি, ২০১৭ সালের আগে ট্যানারি ব্যবসায়ীরা চামড়া ব্যবসায়ীদের শতভাগ বকেয়া পরিশোধ করে দিয়েছেন। এখন সাভারে স্থানান্তরের ফলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ট্যানারি উৎপাদনে যেতে পারেনি।তাই কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের কিছু টাকা বকেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে সারা বছর যে সংখ্যক পশু জবাই হয়, তার অর্ধেক হয় এই কোরবানির মৌসুমে। কোরবানি যারা দেন, তাদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া কিনে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন পাইকারদের কাছে। পাইকাররা সেই চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণের প্রাথমিক কাজটি সেরে বিক্রি করেন ট্যানারিতে।

কিন্তু এবারের ঈদুল আজহায় কোরবানি হওয়া পশুর চামড়া অনেক কম দামে বিক্রি হয়েছে।চামড়ার ন্যায্য দাম না পেয়ে চামড়া পুতে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads