ঘূর্ণিঝড় ফণী ও অমাবশ্যার প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের চাড়িপাড়া গ্রামের ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে শুক্রবার সকালে ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়ে বলে জানান লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বিশ্বাস তপন।
দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে কলাপাড়া ও কুয়াকাটার উপর দিয়ে একদফা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এ সময় প্রবল বর্ষণ শুরু হলেও কোন আশ্রয় কেন্দ্রেই মানুষকে যেতে দেখা যায়নি। ডালবুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আঃ সালাম সিকদার জানান, ইউনিয়নে ৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত থাকলেও দুপুর পর্যন্ত কোন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র আসেনি।
এদিকে কুয়াকাটার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের মাঝিবাড়ি পয়েন্টের ভাঙ্গাবাঁধ সাগরের ডেউয়ের ঝাপটা থেকে রক্ষায় জরুরী বালুর বস্তা ফেলা হলেও এ কাজে অনিয়মের অভিযোগ করেছে এলাকাবাসি। জিও ব্যাগের পরিবর্তে প্লাস্টিকের ব্যাগে সাগরের বালু তুলে বাঁধের ভাঙ্গন ঠেকানোর চেস্টা চলছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সাগরে একটু পানি বাড়লেই পানির তোড়ে এ বস্তা ভেসে যাবে এতে আরো হুমকিতে পড়বে বাঁধটি।