জাতীয়

বাজেট ২০২১-২০২২

করোনা মোকাবেলায় দশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৪ জুন, ২০২১

স্বাস্থ্যে এবার টাকার অংকে ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়লেও মোট বাজেটের হারে গতবারের তুলনায় বেড়েছে সামান্যই।

বাজেটে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বিগত বছরের মতো এবারো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য দশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিকেলে বাজেট অধিবেশনে এই প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।

করানোর অতিমারীতে সবার দৃষ্টি ছিলো স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ নিয়ে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে খাতটিতে উন্নয়ন বরাদ্দ রাখা হয়েছে তেরো হাজার কোটি টাকা। যা মোট উন্নয়ন বাজেটের ৫.৮ শতাংশ। অথচ গত বছর স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন বাজেট রাখা হয়েছিলো ৬ দশমিক এক শতাংশ।

তেমনি সমগ্র বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে এবার রাখা হয়েছে ৩২ হাজার ৭শ ৩১ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ৫.৪ শতাংশ। অথচ গত বছরের বাজেটে তা ছিলো ৫.২ শতাংশ।

এবারের বাজেটে করোনাকালীন জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য দশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেট বক্তৃতায় স্বাস্থ্য খাতে সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, কোভিড ১৯ মোকাবেলায় গৃহীত কার্যক্রমসমূহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা প্রস্তাব করছি যা গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২৯ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা ছিল।

তিনি আরও বলেন, টেস্টিং কিট, মাস্ক, পিপিই, হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ করোনার বিভিন্ন সরঞ্জাম উৎপাদনে কাঁচামাল আমদানীর উপর শুল্ককর আরো এক বছরের জন্য মওকুফ করা হয়েছে। মওকুফ করা হয়েছে শিশু হৃদরোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির করও।

এছাড়া ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামের বাইরে আড়াইশো শয্যার হাসপাতাল বা দুইশো শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করলে শর্ত সাপেক্ষে দশ বছরের জন্য করমুক্ত সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সুলভ এবং মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবার প্রভ‚ত উন্নতি সাধিত হয়েছে। তবে, এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের ভূমিকা অতিমাত্রায় শহরকেন্দ্রিক। তাই, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবাকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম জেলার বাইরে সহজলভ্য করার লক্ষ্যে আমি এ খাতে কর প্রণোদনার প্রস্তাব করছি। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, চট্টগ্রাম জেলার বাইরে অন্যান্য জেলায় শিশু ও নবজাতক, নারী ও মাতৃস্বাস্থ্য, অন্য কোলজি, ওয়েল বিং ও প্রিভেন্টিভ মেডিসিন ইউনিট থাকা সাপেক্ষে ন্যূনতম ২৫০ শয্যার সাধারণ হাসপাতাল এবং ন্যূনতম ২০০ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপিত হলে শর্ত সাপেক্ষে ১০ বছরের জন্য কর অব্যাহতির প্রস্তাব করছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads