করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ফেরার বিষয়ে কঠোর হচ্ছে সরকার

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি

জাতীয়

করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ফেরার বিষয়ে কঠোর হচ্ছে সরকার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ মার্চ, ২০২০

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে প্রবাসীদের ফেরার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত দেশগুলো থেকে লোকজনকে না ফেরার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এসব দেশ থেকে বিমানযোগে যাত্রী অবতরণ বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

গতকাল রোববার দুপুরে ধানমন্ডির দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা নিয়ে জনগণের মধ্যে উৎকণ্ঠা ও দুশ্চিন্তা আছে। বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়ায় এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, সে সম্পর্কে সবারই কম-বেশি ধারণা আছে। ইউরোপ, ইরানের মতো দেশ আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। বিশ্বের ১৪৯টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে ভাইরাসে। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কেবল চীন নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, সে বিষয়টি শেয়ার করতে আমাদের কাছেও তাদের একটি চিঠি এসেছে। তারা প্রয়োজনে সহযোগিতা করেত প্রস্তুত। সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত প্রসারিত করার আভাস দিয়েছে তারা।’

তিনি আরো বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় আমরা এখন পর্যন্ত প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সব শাখাকে প্রস্তুত করেছেন। সরকারের পাশাপাশি আমাদের দলও প্রস্তুত। দেশবাসীকে সতর্কতার অভিযানে আমরা যুক্ত হয়েছি। সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণ করছি। স্কুল-কলেজ বন্ধের দাবি উঠেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনারও ব্যাপার আছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন হয়েছে। পদ্মা সেতুর কিছু চায়নিজ কর্মী, ইঞ্জিনিয়ার ছুটিতে আছেন। তাদের সংখ্যা বেশি নয়। সেখানে এক হাজারেরও অধিক চায়নিজ টেকনিশিয়ান আছেন। এর মধ্যে কিছু লোক ছুটিতে গেছে আবার অনেকে ফিরে এসেছেন। আসা প্রলম্বিত হলেও তাদের অনুপস্থিতিতে ইতোমধ্যে আমরা চারটি স্প্যান বসিয়েছি। পদ্মা সেতু ও  কর্ণফুলী টানেলের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে, আমরা সর্বশেষ ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছি।’ করোনার কারণে আওয়ামী লীগের মহানগর কমিটির কাজ বিলম্বিত হতে পারে কি না, জানতে চাইলে বলেন, কমিটি গঠনপ্রক্রিয়া ও ঘরোয়া কাজগুলো আরো গতি পাবে। ঘরোয়া কাজগুলো করার জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে। বিলম্ব হবে না।

এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। জানান, ১৭ মার্চ সকাল সাড়ে ছয়টায় বঙ্গবন্ধু ভবন এবং দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাতটায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।  দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি টিম টুঙ্গিপাড়ায় সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। সেখানে দোয়া মাহফিল হবে। বাদ জোহর দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা হবে। দুস্থ ও এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ এবং রাত আটটায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আতশবাজি করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads