করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে ভারতের অভিনব পন্থা

সংগৃহীত ছবি

ভারত

করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে ভারতের অভিনব পন্থা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৭ মার্চ, ২০২০

শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলেই 'হোম কোয়ারান্টিন' করে রাখার পাশাপাশি ওই সকল ব্যক্তিদের আলাদা করে চিহ্নিত করতে তাদের বা হাতে একটি বিশেষ 'স্ট্যাম্প' লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সরকার। 

করোনা সংক্রমনের লক্ষণ রয়েছে এমন কিছু রোগী চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যাবার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপ এই ঘোষণা দিয়ে বলেন, গোটা দেশের মধ্যে এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রেই। তাই এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে এক বিশেষ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। করোনা সংক্রমণ রুখতে তাই করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করে রাখার সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার। গত কয়েকদিনে প্রায় ৭ জন করোনা লক্ষণ রয়েছে এমন রোগী চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে পালিয়ে গেছে।

এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেন, 'কেউ যদি কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন তবে সেটা তার অপরাধ নয়। তাদের অবশ্যই যথাযথ চিকিৎসা এবং মানষিক সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। রাজ্যের জনগণের স্বার্থেই মহামারী নিরোধক আইন তৈরি করা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসনকে অবশ্যই এই রোগটি সম্পর্কে সচেতন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপ আরও জানান, ভোট দেওয়ার পর ভোটারদের হাতে যে কালি লাগানো হয়, ওই কালি দিয়েই করোনা লক্ষণ যুক্ত ব্যক্তিদের বা হাতে একটি স্ট্যাম্প করে দেওয়া হবে। যাতে সহজেই তাকে চিহ্নিত করা যায়। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোনও ব্যক্তিকে তার নিজের বাড়িতে কোয়ারান্টিন বা পৃথকীকরণ অবস্থায় থাকার পরামর্শ দেওয়া হলেও তারা তা অমান্য করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অন্যান্য মানুষজনের সঙ্গে মিশছেন। তার ফলে আরও বেশি করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। 

পাশাপাশি মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কেউ করোনা সংক্রমণের লক্ষণ শরীরে থাকা সত্ত্বেও ঘর থেকে বেরিয়ে সাধারণের সঙ্গে মেলামেশা করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে, মহারাষ্ট্রের আসন্ন সমস্ত স্থানীয় ও পুর নির্বাচন আগামী তিন মাসের জন্যে স্থগিত করা হয়েছে, শহর ও গ্রামাঞ্চলের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আপাতভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ রুখতে সতর্কতা স্বরূপই এই ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads