করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৩৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, একদিনে ৩৬৬ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭১৭ জনে পৌঁছেছে।
আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন আরও ৬৯২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৯২ হাজার ৫৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, একদিনে সারা দেশে ১১৭টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬৮টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২১৪টি ল্যাবে ১১ হাজার ১০৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭৬টি নমুনা।
আলোচ্য সময়ে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫৮টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৮টি।
গতবছরের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১১ কোটি ১৩ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৪ লাখ ৬৬ হাজার।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে।