কবিতা

ছবি : সংগৃহীত

সাহিত্য

কবিতা

  • প্রকাশিত ২ মার্চ, ২০১৯

হানিফ রাশেদীন
প্রতীক্ষার রাত

কেউ একজন সুপ্ত আগুন উসকে দিক
ভেঙে ফেলুক অন্ধকার সীমান্ত
প্রাণের প্রদীপ হাতে এগিয়ে আসুক
খুলে দিক প্রতিটি ঘরের নিস্তব্ধ জানালা
শোনাক নির্ভেজাল প্রেমের গল্প
একজন উড়িয়ে দিক অন্তত একটি প্রজাপতি
চারপাশের বিরুদ্ধ বাতাস থামিয়ে দিক
কেউ একজন ছড়িয়ে দিক হূদয়-বাসনা
উচ্চ কণ্ঠে বলুক চাঁদের ঠিকানা
কেউ আবাদ করুক বসন্তের রঙ

কৃষক মাহমুদ
কৃষক ও কবি

তোমার জন্য কষ্ট হয়— বুকের কোমল ফুলদানিতে আহত চৈত্র মিতালী। কবি, তুমি কৃষক- নির্যাতিত সোনার বাংলায়। তোমার হাড়ে যে করে সবুজের চাষ, অবহেলাভরে তৃষ্ণা মিটাও তার জলে। যার রক্তে তোমার পবিত্রতা তাকেই রেখেছ অবহেলার গহ্বরে; শূদ্রের সেলামি দাও কাল যাত্রার বাজারে। তোমার শরীর শার্টের ধুলো উড়ে যায় নরকে আর তুমি পেয়ে যাও স্বর্গ বাণিজ্য টিকিট। নির্যাতিত কৃষক চোখ জল কালিতে ভিজিয়ে গড়ে তুলি কবিতা কানন— কবি, কৃষক উড়ে যাও সোনালি কাবিন হয়ে। কাঁচা ধানের ছড়ায় খোঁজো গাভীর দুধ...তীক্ষ তাপে পোড়ে কৃষক শরীর। আমাদের ধান শালিক বনলতাসেন আর কাঁঠাল মুচির ঘ্রাণ-আর জাদুঘরেও না পাই খুঁজে, কবি-ফিরে এসো কৃষি কাজে...হারিয়ে যাও অসমাপ্ত খেলাঘর রেখে দিগন্ত পাশে যেখানে আর নেই বাজার-দরকষাকষি... যুগে যুগে ভালুকের হাতে খুনতা রেখে কৃষক করে মূলার আবাদ...

নূরনবী সোহাগ
মানবজনম

চায়ের দাওয়াতে; জীবন-মৃত্যু মুখোমুখি
চুমুক ফুরালেই দাম মেটাবে মানবজনম

প্রেমময় বিকেলগুলো চিনিতুল্য দানা
মিষ্টতায় ভর্তি কাম-লোভের বয়াম

বিষাদসমগ্র ফুটছে, কেবল ফুটছে উনুনে
যাপনের রঙ মিশে যাচ্ছে ক্রমশ ঘূর্ণে

জীবন-মৃত্যু মুখোমুখি বসে আছে
চায়ের দাওয়াতে
চুমুক ফুরালেই; মানবজনম
দাম মেটাবে

এস এম মাসুদ রানা
চাঁদের আলোয় পোড়া গন্ধ

বৌবাজার মোড় থেকে চা শেষ করে
লাল প্যাডেলের পাদানিতে চোখ ছিল...
খোঁড়া-রাস্তার ঝাঁকুনিতে লাফিয়ে উঠতে হয় কয়েক ফুট!
চাঁদের আলোর মুখোমুখি এখন।
দু-পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছে উঁচু উঁচু দালান।
মধ্যখানে খোঁড়াখুঁড়ির রাস্তা...

এরই মধ্যে উপচে পড়েছে আকাশ ভরা চাঁদ।
কেশগুলো দারুণ লাগছিল বাতাসে ছিল গন্ধ...
ভালো হতো যদি ক্রিং ক্রিং শব্দ হতো।
জানালায় তীব্র আলো ছিল না বলেই
আজকের চাঁদ এত সুন্দর হয়ে উঠেছে।
চোখ ছুঁয়ে ছুঁয়ে চুয়ে পড়ে নোনা...
আলোয় নামলাম কাবাব পোড়া গন্ধ শুঁকে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads