কফিকাহন

সংগৃহীত ছবি

ফিচার

কফিকাহন

  • প্রকাশিত ১১ এপ্রিল, ২০২২

কফি, আমাদের নিত্যদিনের চাহিদার শীর্ষে থাকা একটি পানীয়। অনেকের প্রতিদিনের সকালটা শুরু হয় কফির কাপের উষ্ণতায়। তবে আমরা কজনইবা জানি কফিদানা কিভাবে আবিষ্কার ও প্রচলন হয়েছে! জানা যায়, কফির জন্ম নবম শতাব্দীতে ইথিওপিয়াতে। একদিন ইথিওপিয়ায় খালদি নামের একজন মেষপালক ছাগল চরানোর সময় লক্ষ করলেন অন্য দিনের চেয়ে সেদিন তার ছাগলগুলো একটু বেশিই চঞ্চল। এর কারণ অনুসন্ধান করে তিনি বুঝতে পারলেন, লাল জামের মতো দেখতে চেরি ফলগুলো খাওয়ার পরই এই চঞ্চলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টি আরো পরিষ্কার করতে তিনি নিজেও কিছু ফল খেয়ে নেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি নিজের শরীরেও উন্মাদনা অনুভব করতে লাগলেন। বিষয়টি তার মধ্যে কৌতুহল ও উৎকণ্ঠা তৈরি করলে তিনি তৎক্ষণাৎ-ই দানাগুলো নিয়ে নিকটস্থ ধর্মীয়লয়ে ধর্মীয় নেতাদের কাছে নিয়ে যান। ধর্মীয় নেতারা এর জাদুকরী কার্যকে অস্বীকার করে তা আগুনে নিক্ষেপ করেন। অবাক করার বিষয় এই যে, কিছু সময় পর আগুনের তাপে দানাগুলো ভাজা হতে থাকে এবং দ্রুতই তা থেকে খুব সুন্দর সুবাস ছড়িয়ে পড়ে। রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাদের মধ্যে কেউ কেউ দানাগুলোকে পানির সাথে মিশিয়ে পান করেন এবং এক ধরনের শক্তি অনুভব করেন। ধারণা করা হয় এখান থেকে পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কফি আবিষ্কার হয়।

ইথিওপিয়া কফি তৈরির ক্ষেত্রে নিবেদিত একটি জাতি। দেশটি আফ্রিকার বৃহত্তম কফি উৎপাদক এবং বিশ্বব্যাপী পঞ্চম স্থানে রয়েছে। গত বছর ১,৯০,০০০ টন কফি বিন রপ্তানি করে দেশটি, প্রায় ৳ ৭০০ মিলিয়ন আয় করেছে এবং ২০১৬ সালে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা চতুর্থ বিশ্ব কফি সম্মেলনের আয়োজন করবে, যা বিশ্ব বিশেষজ্ঞদের একটি উচ্চস্তরের সমাবেশ।

লেথক: আসমাউল হুসনা

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads