কচাকাটায় ভারপ্রাপ্ত সুপারের পদ নিয়ে মারামারি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কচাকাটায় ভারপ্রাপ্ত সুপারের পদ নিয়ে মারামারি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

  • নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ এপ্রিল, ২০১৯

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নায়েকের হাট দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের পদে দুই শিক্ষকের দ্বন্দে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে রবিবার ১১টায় মাদ্রাসায় বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানায়, চলতি বছরের ২জানূয়ারী ওই মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল আউয়াল অবসরে গেলে সহকারী সুপার মাওলানা শাহজাহান আলী (পাক্কু) ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পান। তার দায়িত্ব পালনকালে সরকারী নিয়ম ও কমিটির লোকজনকে তোয়াক্কা না করে উপবৃত্তি প্রদানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা দাবী সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযাগে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি চলতি মাসের ১৩ তারিখে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে শনিবার পরিচালনা কমিটি মিটিং করে একই মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী একরামুল হককে ওই পদে দায়িত্ব প্রদান করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার অনুমতি দেয়। এ নিয়ে মাদ্রাসায় শুরু হয় দ্বন্দ। এসময় আগের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত সুপার শাহজাহান আলী এবং বর্তমানে দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত সুপার একরামুল হকের মাঝে কথা কাটাকাটি বাধে। এক পর্যায়ে বিষয়টি হাতাহাতি থেকে মারামারির পর্যায়ে চলে যায়।

এ নিয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কচাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল সরকার বলেন, আগের ভারপ্রাপ্ত সুপার শাহজাহানের স্বেচ্ছারিতা, দূর্নীতির কারনে ওই পদ থেকে পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে অব্যাহতি দিয়ে একরামুল হককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই কারনে শাহজাহান তার লোকজন নিয়ে এসে একরামুলের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় এ বিষয়ে থানায় অভিযাগ করা হয়েছে।

সহকারী মৌলভী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন , নিয়ম মেনেই সব কিছু করা হয়েছে। এদিকে সকল অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ অস্বীকার করে শাহজাহান জানান, সরকারী নিয়মানুযায়ী সুপারের অবর্তমানে সহকারী সুপার ওই পদ গ্রহণ করবেন। আমি নিয়মানুযায়ী ওই পদে বহাল থাকা সত্বেও সভাপতি একরামুলকে ভারপ্রাপ্ত সুপার বানিয়েছে। শনিবার দাপ্তরীক সব কাগজপত্র একরামুলকে হস্তগত করে। আমি ওই সময় কাগজপত্র রক্ষা করতে তাকে বাধা দিলে তারা আমার উপর চড়াও হয়। তাই আমি থানায় জিডি করেছি।

এদিকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা শাহজাহানের বিপক্ষে বিক্ষোভ ও মিছিল করে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি তোলেন। এ ব্যাপারে শাহজাহান জানান, শিক্ষার্থীদের ভুলভাল বুঝিয়ে পরিচালনা পর্ষদ এবং একরামুল হক মিছিল মিটিং করিয়েছেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক জানান, সব বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) ফারুক খলিল অভিযোগ এবং জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads