কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজের অনিয়ম দূর্নীতি তদন্তে মাঠে নেমেছে দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজে বাজার দরের চেয়ে অনেক উচ্চ মূল্যে ফার্নিচার ক্রয়, আসবাবপত্র ক্রয় এবং অতিরিক্ত ফার্নিচার ক্রয়ে বিপুল টাকা অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করছে দুদক।
আজ সোমবার সকাল ১০ টায় দূর্নীতি দমন কমিশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ পরিচালক মোঃ মাহবুব আলমের নেতৃত্বে একটি দল কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজে আসে। তদন্তদল প্রথমে সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। পরে সরজমিনে বেশির ভাগ ফার্নিচারের অবস্থা, গুণগত মান, বাজার মূল্য আনুষাঙ্গিক বিষয় তদারকি করে।
তবে তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন কিছু বলা যাচ্ছেনা জানিয়ে দুদকের উপ পরিচালক মাহবুব আলম বলেন, আমরা প্রাথমিক ভাবে তদন্ত কাজ শুরু করেছি। এখন ফার্নিচারের বাস্তব অবস্থা, গুনগত মান এবং আনুষাঙ্গিক বিষয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া তদন্ত আরো অধিকতর গ্রহনযোগ্যতা বা সঠিন ভাবে নির্নয়ের জন্য কক্সবাজার গনপূর্ত অধিদপ্তরের ২ জন উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীও রাখা হয়েছে। যদি কাজ একদিনে শেষ করা না যায় তাহলে আরো সময় নিয়ে তদন্ত কাজ চলবে।
এ সময় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম বলেন, আমি কক্সবাজারের সন্তান তাই সর্বোচ্চ দরদ থেকে এই কলেজের জন্য কাজ করেছি। কাজ করতে গিয়ে কোন অনিয়ম হয়নি বলে জানান তিনি।
এ ব্যপারে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, আমি যোগদান করার আগে থেকে এখানে কিছু বিষয় নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ ছিল, সে সব বিষয়ে দুদক তদন্ত করছে আমাদের পক্ষ থেকে উনাদের সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
দুদকের তদন্তটিমের সাথে ছিলেন কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী এস এম জাহিদ ও মোঃ আবদুর রব মাসুদ। দুদকের সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।