হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন রনির আন্তরিক প্রচেষ্টায় ২০ দিন পর শিক্ষক ফিরে পেয়েছে সিএনজিতে ফেলে যাওয়া ৬ ভরি স্বর্ণ, ১ লাখ ১৯ হাজার টাকা ও একটি অপ্পো এফ-৯ মোবাইল সেট। শনিবার সন্ধ্যায় স্বর্ণ, টাকা ও মোবাইল সেট শাহাদাত হোসেনকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগির হোসেন রনিসহ থানার সকল কর্মকর্তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন সুধীজন।
থানা সূত্রে জানাযায়, জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিএএফ শাহীন কলেজের শিক্ষক কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের খীলপাড়া পাটওয়ারী বাড়ীর মৃত মুসলিম পাটওয়ারীর ছেলে মো. শাহাদাত হোসেন তার স্ত্রীসহ ঢাকা থেকে লঞ্চ যোগে চাঁদপুর এসে চাঁদপুর থেকে সিএনজিতে হাজীগঞ্জ আসার পথে বলাখাল বাজারে নেমে যায়। এ সময় ভুলক্রমে সিএনজিতে শিক্ষকের স্ত্রীর ভ্যানেটি ব্যাগটি রয়ে যায়। ব্যাগে নগদ ১ লাখ ১৯ হাজার টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণ ও ১টি অপ্পো এফ-৯ মোবাইল সেট ছিল।
পরবর্তীতে তারা বাড়ীতে গিয়ে বুঝতে পারে সিএনজিতে তাদের ভ্যানিটি ব্যাগটি রয়েগেছে। কিন্তু সে সময়ে সিএনজি চালককে আর কোথায় পাওয়া যায়। এদিকে শাহাদাত হোসেন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সিএনজি চালককে না পেয়ে হাজীগঞ্জ থানায় ওই দিন সন্ধ্যায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।
ডায়েরীর সূত্রধরে এসআই মাইনুদ্দীন বিষয়টি তদন্ত শুরু করেন। এক পর্যায়ে সে কয়েকজন সিএনজি ড্রাইভারকে সন্দেহ করে এগুতো থাকে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, কয়েকজন ড্রাইভারের মোবাইল ফোন নম্বর ট্যাকিং করে বুঝতে পারি রাজারগাঁও ইউনিয়নের বেপারী বাড়ীর মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ইসমাইল হোসেনই এ ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে। এর পর কয়েকবার তাদের বাড়ীতে গিয়ে তাকে না পাওয়া যাওয়ায় তাকে নিয়ে সন্দেহ আরো ঘনিভূত হয়। আবারো তার মোবাইল নম্বর ট্যাকিং করে তাকে ঝিনাইদ’র নেটওয়ার্কে পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে তাকে ধরা যায়নি।
পরবর্তীতে ১২ অক্টোবর সকালে ইসমাইল হোসেনকে নারায়নগঞ্জ থেকে আটক করে হাজীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়।
আটক ইসমাইলের কাছ থেকে শিক্ষক শাহাদাতের স্ত্রীর ভ্যানিটি ব্যাগ ও ব্যাগে থাকা ১ লাখ ১৯ হাজার টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণ ও ১টি অপ্পো এফ-৯ মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
ধূর্ত শাহাদাতের ২দিন বয়সী একটি সন্তান থাকায় শিক্ষক শাহাদাত মানবিক কারণে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি জানান, ইচ্ছা থাকলে, উপায় হয়। আমার অফিসার দীর্ঘ পরিশ্রম করে খোয়া যাওয়া স্বর্ণ, টাকা ও মোবাইল উদ্ধার করতে পেরেছে। এটা সৌভাগ্যের বিষয়। অচিন একটি সিএনজিতে ফেলে যাওয়া মালামাল উদ্ধার হওয়াটা বিরল।
উল্লোখ্য, নবাগত ওসি আলমগীর হোসেন রনি হাজীগঞ্জ থানায় যোগ দেয়ার পর থেকে পূর্বের ন্যায়ই হাজীগঞ্জ উপজেলাকে মাদক, ইভটিজিং ও বাল্য বিয়ে মুক্ত করার জন্য ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে। তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে রয়েছেন।
রাত জেগে হাজীগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে কর্তব্য পালন করছেন। পাশা-পাশি অবৈধ যানবাহন আটকের ফলে আগের মতো অবৈধ মোটর সাইকেল এখন আর সড়কে দেখা যায়না।