ওসমানী হাসপাতা‌লে হ‌চ্ছে ৪৫০ শয্যার আইসোলেশন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

মহানগর

ওসমানী হাসপাতা‌লে হ‌চ্ছে ৪৫০ শয্যার আইসোলেশন

  • সিলেট ব্যুরো
  • প্রকাশিত ৬ অগাস্ট, ২০২১

সিলেটে দ্রুত বাড়‌ছে করোনা সংক্রমণ। প্রতি‌দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ায় হাসপাতালে মিল‌ছে না শয্যা। ভয়াবহ এমন প‌রি‌স্থি‌তি‌তেও শুধুমাত্র  অ‌ক্সিজেনের অভা‌বে সি‌লে‌টের সর্ববৃহৎ ওসমানী মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লের নব‌নি‌র্মিত ভবন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। নতুন বর্হিবিভাগের ১০ তলা ভবনের ৪র্থ ও ৫ম তলায় ৪৫০ শয্যা সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকালেও কেবলমাত্র সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযোজন না থাকায় তা চালু করা সম্ভব হ‌য়‌নি। ফ‌লে বর্তমান ক‌রোনা মহামা‌রি‌তেও চি‌কিৎসা সেবা থে‌কে ব‌ঞ্চিত ছি‌লেন বিভা‌গের চার জেলার মানুষ।

অবশেষে সি‌লেট-১ আস‌নের এম‌পি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মো‌মেনের ডিও’র প্রেক্ষিতে সি‌লে‌টের সর্ববৃহৎ এ হাসপাতা‌লে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনের প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালায়।

সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযোজনের ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্মত হওয়ার এমন সুখবর বুধবার রা‌তে সি‌লেটবাসী‌কে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী নি‌জে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ডিও লেটার পাওয়ার একদিনের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযোজনের প্রকল্পটি অনুমোদন করে।

প্রকল্প‌টি অনু‌মোদন পাওয়ায় সি‌লেটবাসীর সর্বশেষ চি‌কিৎসার আশ্রয়স্থল ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৫০ শয্যার নতুন আইসোলেশন সেন্টার চালু হতে যাচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জা‌নি‌য়ে‌ছে, সাড়ে চারশ’ শয্যার এই আইসোলেশন সেন্টারটি চালু হলে সিলেটে কোভিড চিকিৎসা সংকট অনেকটাই কমবে।

জানা যায়, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন বর্হিবিভাগের ১০তলা ভবনের ৪র্থ ও ৫ম তলা আইসোলেশনের জন্য প্রস্তুত। কেবলমাত্র সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযোজন না থাকায় সাড়ে চারশ’ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার চালু করা সম্ভব হচ্ছিল না।

এ অবস্থায় ওই ভভনটির ৪র্থ ও ৫ম তলায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযোজনের ব্যবস্থা নিতে বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ডিও লেটার (চাহিদাপত্র) পাঠান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবুল মোমেন। প্রেরিত ডিও লেটারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সারা বাংলাদেশের ন্যায় অতি সম্প্রতি সিলেটেও করোনা মহামারি প্রকট আকার ধারণ করেছে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ভবন উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণের মাধ্যমে ৩য় তলা থেকে ১০ তলায় উন্নিত করা হয়েছে। কিন্তু ভবনটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযোজন করা হয়নি। ফ‌লে চি‌কিৎসা সেবা থে‌কে ব‌ঞ্চিত র‌য়ে‌ছেন সি‌লে‌টের হাজারও মানুষ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি জানান, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেককে ডিও দেওয়ার পর তিনি দ্রুত উদ্যোগ নিয়েছেন। সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযোজন প্রকল্পটি অনুমোদনের বিষয়টি স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন। এখন যতো দ্রুত সম্ভব কাজ সম্পন্ন করে সিলেটের মানুষের জন্য নতুন এই আইসোলেশন সেন্টারটি চালু করা প্রয়োজন। সাড়ে চারশ’ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারটি চালু হলে সিলেটের মানুষ অনেক উপকৃত হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads