ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ

সৈনিক হত্যা দিবস

প্রতীকী ছবি

জাতীয়

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৭ নভেম্বর, ২০১৮

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফের তিন দিনের সরকারের পতন ঘটে। দিনটিকে আওয়ামী লীগ পালন করে ‘সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে। বিএনপি উদযাপন করে আসছে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে। তবে উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। কর্নেল (অব.) আবু তাহেরের নেতৃত্বে সংঘটিত এই অভ্যুত্থানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফের তিন দিনের সরকারের পতন ঘটে। এর ফলে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান। পরে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার আমলে দিবসটিতে সরকারি ছুটি থাকে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার এ ছুটি বাতিল করে।

উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, কিছু সেনা কর্মকর্তার দ্বারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার পর খন্দকার মোশতাক আহমেদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। কিন্তু খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতার নেপথ্যে ছিলেন ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার খলনায়করা। খালেদ মোশাররফ বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তিনি তার অনুগত সৈন্য বাহিনী নিয়ে ৩ নভেম্বর মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান ঘটান। অভ্যুত্থান প্রাথমিকভাবে সফলও হয়। কিন্তু এটির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র তিন দিন। জাতীয় চার নেতাকে হত্যার জের ধরে ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থানে খালেদ মোশাররফ রক্তপাতহীন ক্যু করেন। নিজেকে সেনাপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন। গৃহবন্দি করেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে। তার বাসার টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্² করে দেওয়া হয়। বন্দি জিয়া তার শয়নকক্ষে থাকা টেলিফোনে তাকে উদ্ধারে জরুরি বার্তা পাঠান। ইতিহাসের গতিপথ পাল্টে যায় এ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। এটিকে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ যার যার মতো করে পালন করে।

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর উপলক্ষে কর্মসূচি প্রণয়নে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর ভোরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের সব জেলা অফিসে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ। ৮ নভেম্বর দুপুর ২টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা। এছাড়া ৭ নভেম্বর উপলক্ষে দল ও অঙ্গ-সংগঠনের উদ্যোগে পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। অঙ্গ-সংগঠনগুলো পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাইরে স্থানীয় পর্যায়ে মহানগর-জেলা ও উপজেলা-থানা-ইউনিয়নেও ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আলোচনা সভাসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads