এহসানুল হক মিলনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলনকে

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

আইন-আদালত

এহসানুল হক মিলনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ নভেম্বর, ২০১৮

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহসানুল হক মিলনের জামিন না মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ সোমবার সকালে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সরোয়ার আলমের আদালতে তাকে হাজির করে ১৪ মামলায় জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত মিলন ও সরকার পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে তিনটি মামলায় জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে বাকিগুলোর বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

এরপর মিলনকে নেয়া হয় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শফিউল আজমের আদালতে। সেখানে দু’টি মামলায় জামিনের আবেদন করা হলে আদালত সেসব মামলায়ও জামিন না মঞ্জুর করে জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এর আগে মিলন এসব মামলার মধ্যে ৭ টিতে উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেছিলেন। কিন্তু ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল থেকে তিনি মামলাগুলোতে হাজির না হওয়ায় তাকে নতুন করে ওইসব মামলায়ও জামিন চাইতে হচ্ছে। কিন্তু প্রায় তিন বছর আদালতে অনুপস্থিত থাকায় এবং অনুপস্থিত থাকার পক্ষে যথেষ্ঠ সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় আদালত এসব মামলায়ও তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেছে।

এর আগে গত শুক্রবার মিলনকে চট্রগ্রামের চকবাজার থানার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে তিনি জেল হাজতে রয়েছেন। গ্রেফতার পর পর মিলনকে কোর্টে হাজির করে তিনটি মামলায় শোন এ্যারেষ্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। গতকাল রোববার তার অনুপস্থিতিতে তিনটি মামলার জামিনের শুনানি অনুষ্ঠান করতে গেলে আদালত তাকে কোর্টে হাজির করে শুনানি অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী আজ সোমবার তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

মিলনের বিরুদ্ধে বর্তমানে চাঁদপুরের বিভিন্ন আদালতে ২৬ টি মামলা রয়েছে। এর ভেতর ১৭ টিতেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল। মামলাগুলোর মধ্যে একটি খুনের। বাদ-বাকিগুলো চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত। বিএনপি ক্ষমতাচ্যুত হবার পর এসব মামলা দায়ের করা হয়। মিলন ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে চাঁদপুর-০১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি প্রতিমন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের প্রথম দিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। এরপর মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। চলতি নভেম্বর মাসে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং বিএনপি থেকে মনোনয়ন চেয়ে দলের কাছে আবেদন করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads