এলনকে সরিয়ে টেসলার নতুন চেয়ারম্যান রবিন ডেনহোম

টেসলার নতুন চেয়ারম্যান রবিন ডেনহোম

সংগৃহীত ছবি

তথ্যপ্রযুক্তি

এলনকে সরিয়ে টেসলার নতুন চেয়ারম্যান রবিন ডেনহোম

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৯ নভেম্বর, ২০১৮

সম্প্রতি প্রতারণামূলক টুইট করে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে চেয়ারম্যানের পদ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ককে। আর তার পদে স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান টেলিকম কোম্পানি টেলসট্রার চিফ ফিন্যানশিয়াল অফিসার রবিন ডেনহোম।

রবিন এখনো টেলসট্রাতে কর্মরত আছেন। সেখানে তার অব্যাহতির চুক্তি মোতাবেক ছয় মাসের সময় শেষ হলে তিনি পুরোদমে টেসলার চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানানো হয়েছে বিবিসি বিজনেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চেয়ারম্যানের পদ ছাড়লেও সিইও পদে বহাল থাকবেন এলন মাস্ক। এ বিষয়ে এলন মাস্ক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, টেক ও অটো ইন্ডাস্ট্রির বিষয়ে রবিনের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার বেশ বিস্তৃত। গত চার বছর ধরে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থাকাকালীন টেসলাকে লাভজনক কোম্পানি হিসেবে দাঁড় করাতে আমাদের সহায়তা করেছেন।

টেসলার ওয়েবসাইটে বলা হয়, ২০১৪ সাল থেকেই স্বাধীন পরিচালক হিসেবে টেসলা পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রবিন। তিনি ইতোমধ্যে টেলস্ট্রা, জুনিপার নেটওয়ার্কস, সান মাইক্রো সিস্টেমসসহ অস্ট্রেলিয়া এবং সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোতে তার দক্ষ নেতৃত্ব এবং আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন।

রবিন বলেন, এই প্রতিষ্ঠানকে আমি বিশ্বাস করি, আমি বিশ্বাস করি এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য পূরণে সামনে আগাতে এলন এবং টেসলা পরিবার আমাকে সাহায্য করবে। 

সম্প্রতি প্রতারণামূলক টুইট করে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার মার্কেট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। এসইসি জানায়, টুইটটির কোনো ভিত্তি ছিল না। কোম্পানি প্রাইভেটাইজ করা বা ফান্ডদাতাদের বিষয়ে টেসলার সঙ্গে মাস্ক কোনো আলোচনাই করেননি।

চলতি বছরের ৭ আগস্ট এক টুইটে তিনি বলেন, টেসলাকে প্রাইভেট কোম্পানি করার জন্য তার কাছে যথেষ্ট পরিমাণ ফান্ড রয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটির প্রতিটি পাবলিক শেয়ার ৪২০ ডলারে কিনে নেওয়া যাবে। এই টুইটের পরে স্বাভাবিকভাবেই টেসলার শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু তিনি ফান্ডিংয়ের ব্যবস্থা না করতে পারায় পরবর্তী সময়ে শেয়ারের দাম ৪ শতাংশ কমে যায়। এতে অনেক বিনিয়োগকারী আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads