এখনো সহায়ক পরিবেশ গড়ে ওঠেনি : যুক্তরাষ্ট্র

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

এখনো সহায়ক পরিবেশ গড়ে ওঠেনি : যুক্তরাষ্ট্র

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ নভেম্বর, ২০১৮

চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। ঠিক এ সময়ই রোহিঙ্গাদের নিয়ে চলছে মার্কিন তৎপরতা। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এখন বাংলাদেশ সফর করছেন দেশটির আফ্রিকা ও এশিয়ার শরণার্থী ও প্রত্যাবাসনবিষয়ক উপ-সহকারী মন্ত্রী রিচার্ড অলব্রাইট। এর আগে তিনি মিয়ানমার সফর করেন। সেখানে তিনি দেশটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। নেইপিডোতে মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে এ সফর সম্পর্কে বলা হয়, অলব্রাইটসহ অন্যান্য মার্কিন কর্মকর্তার সফর মিয়ানমারে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি ও মাঠের অবস্থা ভালোভাবে বোঝার জন্য নিয়মিত ভ্রমণের অংশ। এ সফরের মাধ্যমে প্রত্যাবাসনের জন্য এখনো পরিবেশ উপযুক্ত নয় বলেই বার্তা দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।

গতকাল রোববার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের পার্শ্ববর্তী জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিচার্ড অলব্রাইট বলেন- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক এবং মর্যাদাপূর্ণ হতে হবে। পাশাপাশি তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের রাখাইনে আরো উন্নত পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। রাখাইনে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার অবাধে কাজ করার সুযোগ থাকতে হবে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক পরিবেশ এখনো মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তৈরি হয়নি। সেখানে এখনো জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর প্রবেশাধিকার নেই। সেটি অবশ্যই তৈরি করতে হবে। তিনি এসব বিষয় বাস্তবায়নে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলেও জানান।

রিচার্ড অলব্রাইট এর আগে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুমের কোনারপাড়া রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থানকালে নো ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

পরিদর্শনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ‘ইউএসএআইডি’ বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ডেরিক ব্রাউনসহ শিবিরে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন প্রতিনিধিদলটি গতকালই বিমানযোগে ঢাকা ফিরে যায়।

এর আগে রিচার্ড অলব্রাইটের নেতৃত্বে মার্কিন সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা ৫-৮ নভেম্বর মিয়ানমারের কাচিন ও রাখাইন রাজ্য সফর করেন। মিয়ানমারে দেশটির রাষ্ট্রদূত স্কট মার্শিয়েল ও উপ-মিশন প্রধান জর্জ সিবলেও এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন। অলব্রাইট ইয়াঙ্গুনও সফর করেন এবং ৯ নভেম্বর তিনি রাজধানী নেইপিডোতে মিয়ানমার সরকারের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।

নেইপিডোর মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারের ভবিষ্যতের জন্য রাখাইন রাজ্যের অগ্রগতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে। যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সাহায্য করতে পারে সে বিষয়ে আরো বেশি মানুষকে জানাতে চায় দেশটি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads