গত ১৯ বছর ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্ক্রিপ্ট শাখায় মাস্টার রোলে চাকরি করছেন কামাল হোসেন। তার একটি পা নেই। পায়ের কাজটি করছে হাতে ধরে রাখা ক্রেচ। অন্য হাতে মাইক্রোফোন। একটিই দাবি দীর্ঘ দিনের অস্থায়ী চাকরি স্থায়ী হোক। তবে এখনও তার চাকরি স্থায়ী হয়নি।
শুধু কামাল নয় এ রকম প্রায় ২৮০জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী হয়নি। ফলে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে কাটাচ্ছেন তারা। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে মাস্টার রোল কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে এসব কথা জানান তারা।
মানববন্ধনে মাস্টাররোল ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, জীবিকার তাগিদে আজ আমরা রাস্তায় দাড়িয়েছি। ১৯৮৯ সাল থেকে আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রম দিয়ে যাচ্ছি অস্থায়ী ভাবে। তবে আমরা দৈনিক মজুরী হিসেবে যে বেতন পাই, তা খুবই সামান্য। যা দিয়ে আমাদের সংসার চালাতে বেশ কষ্ট হয়। অনতিবিলম্বে মাস্টাররোল কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করণের দাবি জানাচ্ছি।
সংগঠনের সিনিয়র সদস্য জামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা দীর্ঘ ৩০ বছর শ্রম দিয়ে আমরা অসহায়। এক জন স্থায়ী কর্মচারী যেমন শ্রম দেন, আমরাও সম পরিমাণ শ্রম দেই। কিন্তু তাদের তুলনায় আমরা অনেক কম বেতন পাই, যা দিয়ে আমাদের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়। বাংলাদেশ সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সবার চাকরি করার অধিকার আছে। অতি দ্রুত আমাদের চাকরি স্থায়ী করণের দাবি জানাই।
সংগঠনের সদস্য মুস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, মো.কামাল, নাজনীন পারভিন প্রমুখ। এ সময় দু’শতাধিক মাস্টাররোল কর্মচারী অংশ নেন।