বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী, অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফাসহ দেশের ২১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে একুশে পদক দিচ্ছে সরকার।
আজ বুধবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করেছে।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে একুশে পদক তুলে দেবেন।
২০১৯ সালে একুশে পদক পাচ্ছেন যারা
ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য একুশে পদক পাচ্ছেন অধ্যাপক হালিমা খাতুন (মরণোত্তর), অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু ও অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম।
শিল্পকলা-সংগীতে অবদানের জন্য আজম খান (মরণোত্তর), সুবীর নন্দী ও খায়রুল আনাম শাকিল সংগীতে একুশে পদক পাচ্ছেন।
শিল্পকলা-অভিনয়ে অবদানের জন্য লাকী ইনাম, সুবর্ণা মুস্তাফা ও লিয়াকত আলী লাকী অভিনয় ক্ষেত্রে একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
শিল্পকলা-আলোকচিত্রে অবদানের জন্য সাইদা খানম আলোকচিত্র ক্যাটাগরিতে একুশে পদক পাচ্ছেন।
শিল্পকলা-চারুকলায় এবার একুশে পদক পাচ্ছেন জামাল উদ্দিন আহমদে।
মুক্তিযুদ্ধে এবার ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য একুশে পদক পাবেন।
গবেষণায় একুশে পদক পাচ্ছেন ডক্টর বিশ্বজিৎ ঘোষ ও ড. মাহবুবুল হক।
শিক্ষায় অবদানের জন্য ডক্টর প্রণব কুমার বড়ুয়া এবার একুশে পদক পাচ্ছেন।
ভাষা ও সাহিত্যে এবার রিজিয়া রহমান, ইমদাদুল হক মিলন, অসীম সাহা, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মইনুল আহসান সাবের ও হরিশংকর জলদাস ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক পাচ্ছেন।
নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ দুই লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে। ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দিচ্ছে সরকার।