নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অজ্ঞানকারী ও গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাবে প্রায় এক যুগ ধরে বন্ধ রয়েছে প্রসবকালীন সিজারিয়ান অপারেশন। ফলে এখানে গর্ভবতী মায়েরা প্রসবকালীন জরুরী ও জটিল সময়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ৫০শয্যার সরকারি এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজার অপারেশনের জন্য আছে অপারেশন থিয়েটার ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ। কিন্ত এখানে প্রায় বারো বছর ধরে অজ্ঞানকারী ডাক্তার থাকলেও থাকেনি গাইনী বিশেষজ্ঞ কিংবা গাইনী বিশেষজ্ঞ থাকলে থাকেনি অজ্ঞানকারী ডাক্তার। এ দু’বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পোষ্টিং এক সাথে না হওয়ায় এ হাসপাতালটিতে প্রায় এক যুগ ধরে বন্ধ রয়েছে মায়েদের প্রসবকালীন জটিল ও জরুরী সময়ের সিজারিয়ান অপারেশন। তবে এক যুগ পূর্বে এখানে ওই অপারেশন হতো।
কলমাকান্দার বিশরপাশা গ্রামের বাসিন্দা আলাল মিয়া জানান, সম্প্রতি তার গর্ভবতী স্ত্রীকে প্রসবকালীন জটিল অবস্থায় সিজারের জন্য এ হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু সরকারি এ হাসপাতালটিতে সিজারের ব্যাবস্থা না থাকায় তাদের যেতে হয়েছে প্রাইভেট ক্লিনিকে।
উপজেলা সদরের বাসিন্দা একরাম হোসেন বলেন, প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রসবকালীন একটি সিজারিয়ান অপারেশন করতে খরচ হয় কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আল-মামুন জানান, এ হাসপাতালে ওই দু’পদে ডাক্তার চেয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন হচ্ছে নেত্রকোনা সিভিল সার্জন বরাবর।
নেত্রকোনা সিভিল সার্জন ডা. তাজুল ইসলাম খান জানান, পূর্বে ‘জরুরী প্রসূতি সেবা’ কার্যক্রমের আওতায় কলমাকান্দায় সিজার অপারেশন হতো। এখন অজ্ঞানকারী ও গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সল্পতা রয়েছে। তাই এসব ডাক্তারের পোষ্টিং এখানে আপাতত দেয়া যাচ্ছে না।
 
                                 
                                 
                                         
                                         
                                         
                                        





