শিশু বয়সেই বাবাকে হারিয়ে জীবন সংগ্রামে একটু একটু করে লড়ে স্নাতক পর্যন্ত লেখাপড়া করে মোহাম্মদ মোল্লা। কিন্তু বয়স শেষ হয়ে গেলেও তেমন কোন চাকরি জোটেনি তার। ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করে সে। কিছুদিন কাজ করার পর নিজেই ব্যবসা শুরু করে সে। ভালোই চলছিল তার। এরই মধ্যে গুরুতর এক অসুখ তার শরীরে বাসা বাঁধে। আর এই অসুখে সর্বশান্ত হয়ে এখন মৃত্যুর সাথে লড়ছে মোহাম্মদ মোল্লা। সে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চর কৃষ্ণপট্টি গ্রামের মৃত মানিক মোল্লার ছেলে।
মোহাম্মদের পারিবারিক সূত্র জানায়, মোহাম্মদ মোল্লার পেট ও হৃদযন্ত্রের সংবেদনশীল স্থানে টিউমারের অবস্থান ধরা পড়েছে। তিনি বর্তমানে রাজধানীর ধানমন্ডি ক্লিনিকে ডা. আহমেদ সরওয়ার মর্শেদ এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। স্বাভাবিক অপারেশনে টিউমারটি অপসারন করা যাবে না। টিউমারটি বিশেষ ব্যবস্থায় চার ধাপে অপারেশন করতে হবে। ইতিমধ্যে একটি অপারেশ সম্পন্ন করেছেন চিকিৎসক। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় এক লক্ষ টাকা। এর আগে রোগটি নির্ণয়সহ ওই অপারেশনের ব্যায় বহন করতে গিয়ে নিজের আর্থিক সামর্থ পুরোটাই শেষ হয়ে গেছে তার। কিন্তু চিকিৎসা চালিয়ে যেতে আরো খরচ হবে কয়েক লাখ টাকা। সেই টাকা খরচ করার সামর্থ মোহাম্মদ মোল্লার নেই। তাই সমাজের সামর্থবানদের সহায়তাই পারে মোহাম্মদের পরবর্তী চিকিৎসা সম্পন্ন করতে।
মোহাম্মদ মোল্লার মা খোদেজা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘জন্মের পরপারই ওর বাবার মৃত্যু হয়। অনেক কষ্ট করে লেখাপাড়া শিখে খেয়ে পড়ে কোনো মতে ভালোই চলছিল আমাদের। মোহাম্মদেরও দু’টি কন্যা সন্তান হয়েছে। একটু সুখের মুখ দেখার আগেই আমাদের পরিবারে নেমে এসেছে অন্ধকার। এখন ছেলেকে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য আমাদের নেই। আমি সমাজের বিত্তবানদের আমার ছেলে চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি। তা না হলে আমার ছেলেটা বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে। এতিম হবে দু’টি শিশ ‘। স্বহৃদয় ব্যাক্তিদের ০১৭৩৪ ৭১৩৮৬৬ নম্বরে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করেন তিনি।