শতাব্দী প্রাচীন চা শিল্পখাত টিকে আছে এর সঙ্গে জড়িত বনেদি উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা ও পেশাদারি উদ্যমী মনোবলের পাশাপশি কয়েক লাখ চা শ্রমিকের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের বিনিময়ে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চায়ের চাহিদা ও দাম ক্রমেই বেড়ে চলেছে। চট্টগ্রামস্থ দেশের অর্ধশতাব্দীরও বেশি প্রাচীন আন্তর্জাতিক চা নিলাম বাজার অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালনাসহ অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে চায়ের রয়েছে প্রায় সোয়া ২ হাজার কোটি টাকার বাজার। তবে আশার খবর হচ্ছে দেশের উত্তরাঞ্চল ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বিস্তৃত হচ্ছে চায়ের আবাদ। পাশাপাশি আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে চা আবাদ ও উৎপাদনে।
পঞ্চগড় : দেশের উত্তর প্রান্তের শেষ জেলা পঞ্চগড়। ব্যাপক আবাদ, দার্জিলিং ভ্যারাইটির চা উৎপাদন ও অকশন মার্কেটে পঞ্চগড়ের চায়ের চাহিদা বেশি হওয়ায় ইতোমধ্যে দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। পঞ্চগড়ের সমতল ভূমিতে চা চাষের সফলতা এলাকার দারিদ্র্য বিমোচন, আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নসহ সৃষ্টি করেছে হাজারও মানুষের কর্মসংস্থান। বর্তমানে জেলার তেঁতুলিয়া, সদর উপজেলা এবং আটোয়ারী উপজেলায় চা চাষ করা হচ্ছে। বাগান ভিত্তিক ছাড়াও ক্ষুদ্রায়তন ও ক্ষুদ্র চা চাষিরা নিজেরাই তাদের জমিতে চা বাগান করেছে।
ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার সীমান্তঘেঁষা নাগর নদীর তীরে ১০ হাজার একর উঁচু জমিতে চা চাষের সম্ভাবনা নিশ্চিত করেন বিশেষজ্ঞ দল। বিশেষজ্ঞ দলের মতে, পাশের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলায় ২০০০ সাল থেকে চা চাষ শুরু হয়েছে। ২০০২-০৬ সালে সেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০০ হেক্টর জমিতে চা চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও ইতোমধ্যে সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।