উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টর দিয়াবাড়ীতে রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের (আবাসিক) মধ্যে কোয়ারেন্টােইন সেন্টার তৈরিতে একটি কম্পাউন্ডে কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এদিকে এ খবর শুনে, প্রতিবাদে নেমেছে কয়েক শ লোক। তাঁরা বলছে, আবাসিক এলাকার মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিন সেন্টার করা একটি ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত তারা মানেন না।
সবার ক্ষতির কথা বিবেচনা করে এখনই দিয়াবাড়ী কোয়ারেন্টােইনে সেন্টার অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার আহবান জানান তারা।
জানা গেছে, কোয়ারেন্টিনের জন্য ঠিক করা কুঞ্জলতা নামের ওই কম্পাউন্ডের ৪ টি ভবনে ৮৪ টি করে ফ্ল্যাট রয়েছে। মোট ৩৩৬টি ফ্ল্যাট কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এখানকার এলাকাবাসীর দাবি, আবাসিক এলাকায় কোয়ারেন্টিন সেন্টার করার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। সরকারের পক্ষে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হোক।
এখানে প্রায় ৩ হাজার মানুষ বসবাস করছেন। সবাই স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবেন বলে তাঁরা এ প্রতিবাদ করছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে বাংলাদেশের দুটি কোয়ারেন্টিনের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে দেওয়া হয়।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে আশকোনা হজক্যাম্প ও উত্তরা দিয়াবাড়ির রাজউকের ফ্ল্যাট প্রকল্প এলাকায় করা কোয়ারেন্টিনের দায়িত্ব পায় সেনাবাহিনী।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের বাংলাদেশে সংক্রমণ ও বিস্তৃতির সম্ভাব্যতা এবং প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলদেশ সরকারের সিদ্ধান্তে কোয়ারেন্টিনের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই দুটি কোয়ারেন্টিনের সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যাদের কোয়ারেন্টিনে থাকা উচিত বলে মনে করবে, তাদের সেনাবাহিনীর হাতে ন্যস্ত করা হবে।
                                
                                        
                                        
                                        
                                        




