আব্দুস সালাম, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
২০১৯ সালের করোনা মহামারির প্রভাবে সারা পৃথিবীর মত বাংলাদেশও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেইসাথে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল উত্তরবঙ্গের বিশাল আদিবাসী জনগোষ্ঠী, যাদের বেশিরভাগেরই পেশা বর্গাচাষি, দিনমজুর ও পশুপালন। করোনার সেই ভয়াবহতার মাঝে উত্তরবঙ্গ আদিবাসী সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া উন্নয়ন সংগঠন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বিতরণ ছাড়াও এই মহামারির মোকাবিলায় ঘোড়াঘাট থানার বেলতলি গ্রামের ১০ টি পরিবারকে ২০২১ সালে বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক ও ৫ টি পরিবারকে ভেড়া, গরু ও শূকরের সাবক দিয়ে সাহায্য করে ও একইসাথে গবাদিপশুগুলোর পরিচর্যা, চিকিৎসা ও খাবারের জন্য মাসিক ভিত্তিতে অনুদান প্রদান করা হয়। সংগঠনটির এই অনুদান পাওয়ার পর থেকে বেলতলি গ্রামের ১৫ টি পরিবারের আর্থিক পরিবর্তন হতে শুরু করে। জসিন্তা মুরমুর গরুর খামারে এখন ৩টি গরু, বিমল হাসদার ৪টি ভেড়া, ১টি গরু আর ভারতি মার্ডির ৫টি শূকর। পৌলিনা হেম্ব্রম, স্বপন কিস্কু, নিখিল মুরমুরা তাদের বাড়ির আশেপাশের পতিত জমিতে সবজি চাষ করে পরিবারের আর্থিক উন্নয়ন করেছে। উত্তরবঙ্গ আদিবাসী সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া উন্নয়ন সংগঠনের এই সাফল্যকে একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেরিলিন কুইন মুরমু।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেরিলিন কুইন মুরমু বলেন,করোনা পরবর্তী সময়ে কীভাবে আমাদের এই আদিবাসী জনগোষ্ঠী খুব তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়াতে পারে এই ভাবনা থেকেই মূলত আমরা এই পদক্ষেপ নেই, একইসাথে আমরা নজর দেই এটাকে কীভাবে টেকসই করা যায় সেদিকেও। আমরা তাদেরকে শুধু বীজ, সার, কীটনাশক, গবাদিপশু দিয়েই সাহায্য করিনি সাথে সাথে পরিচর্যার জন্য ১ বছরের আর্থিক সাহায্যও প্রদান করেছি, যা ছিল টেকসই উন্নয়নেরই একটি শর্ত। ২ বছরের মধ্যেই তারা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে, তাই আমাদের পরিকল্পনাটা সার্থক। এই পরিকল্পনার সাথে যারা যুক্ত ছিলেন ও দেশ-বিদেশ থেকে যারা আর্থিক ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।





