মুফতি আহমদ আবদুল্লাহ
ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাত ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম মুহাম্মদ আবদেল রউফ আরাফাত আল কুদবা আল হোসাইনী। তবে ইয়াসির আরাফাত হিসেবে বিশ্ববাসী তাকে চিনে। ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষ তাকে ‘ইয়া সায়্যার’ (হে অনুপ্রেরণাকারী) উপাধি প্রদান করে। আরাফাত সেখান থেকে শুধু ফিলিস্তিনবাসীর জন্য নয়, সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য ইয়াসির আরাফাত হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার জন্ম জেরুজালেম শহরে। আরাফাত স্বয়ং এ দাবি করেছেন। তবে তার জীবনী লেখকরা বলেছেন, আরাফাত মিশরের রাজধানী কায়রোতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। সেই সুবাদে তার বাল্যকাল ফিলিস্তিন ও কায়রো যাওয়া-আসার মধ্যে কেটেছে।
ছোটবেলা থেকেই আরাফাত অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। ব্যক্তিত্বের দিক দিয়ে তিনি ছিলেন একদম স্বাধীনচেতা। পরাধীনতার গ্লানি তাকে দারুণভাবে পীড়া দেয়। তাই তরুণ বয়সেই তিনি রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে ছিল তার অদম্য আগ্রহ। ফিলিস্তিনিদের গ্লানিকর জীবন তাকে দারুণভাবে আহত করে। মাতৃভূমি হারানো এবং পবিত্র ভূমিতে ইহুদিদের পদচারণা মর্মানুভূতিতে খুব নাড়া দেয়। তিনি বিশ্বাস করতেন, চেষ্টা ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে বিজয় একদিন হবেই। এ মানসিক শক্তি পোষণ করে তিনি নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ান। কোরবান করে দেন তার জীবন ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার জন্যে। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে ইহুদি কর্তৃক ফিলিস্তিন ভূখণ্ড দখল এবং হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের বর্বর চিত্র স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন। সে বিভীষিকার চিত্র ছিল খুবই করুণ ও অবর্ণনীয়। আন্তর্জাতিক রাজনীতির দৃশ্যপটে তিনি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হন। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে কুয়েতে নির্বাসিত জীবনকালে তিনি ফিলিস্তিনি জাতীয়বাদী আন্দোলনের মুক্তির সংগঠন ‘ফাতাহ’ গঠন করেন। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ১৯৬৪-এর ২৮ মে ফাতাহ ‘প্যালেস্টাইনিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশন’ (পিএলও) নামকরণ করা হয়। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি পিএলও-এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ সময়ে তিনি জর্দানে নির্বাসিত জীবনযাপন করছিলেন।
বিশ্ববাসীর সামনে ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আরাফাতের মতো সোচ্চার আর কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। তিনি ইচ্ছা করলে আর দশটি যুবকের মতো বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে পারতেন। কিন্তু দেশ মাতৃকার স্বাধীনতার প্রেমে পড়ে তিনি বেছে নেন এক অনিশ্চিত জীবন। যাযাবরের মতো ঘুরেছেন এখান থেকে সেখানে। শুধু একটু স্বাধীনতার স্বাদ পেতে দেশ থেকে দেশান্তরে চষে বেড়িয়েছেন।
১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর আরাফাত কিছুদিন নিরাপত্তার কারণে আত্মগোপন করে থাকেন। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার জন্য পিএলও এক পর্যায়ে হাতে অস্ত্র তুলে নেন। সামরিক নেতা না হওয়া সত্ত্বেও ইসরাইলের বিরুদ্ধে অধিকাংশ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইয়াসির আরাফাত। ১৯৬৭-৬৮ আরব-ইসরাইল যুদ্ধে তিনি সম্মুখ সারিতে ছিলেন। ১৯৭০- এ জর্দানের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়। তখন সবাইকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি পাড়ি দেন লেবাননে। রাজধানী বৈরুতে গড়ে তুলেন পিএলও-এর সদর দপ্তর। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত আরব শীর্ষ সম্মেলনে পিএলও-কে ফিলিস্তিনি জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত লেবানন থেকে তিনি যুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে ইসরাইল লেবানন আক্রমণ করলে আরাফাত ও তার অনুসারীদের লেবানন ত্যাগ করার ফরমান জারি হয়। পিএলও সদর দপ্তর স্থানান্তর করা হয় তিউনিসে। ইতিমধ্যে ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে ১৭ সেপ্টেম্বর লেবাননে নয়া প্রেসিডেন্ট বশির জামিল নিহত হন। তিউনিসিয়ায় পিএলও-এর অবস্থানটা এমনই যে, ওপেন হার্ট সার্জারি করা এক জীবন্মৃত রোগী। যাকে যুদ্ধের ময়দানে অপারেশন করে ধমনী বদলে ফেলা হয়েছে। বৈরুত ছিল জনসরগরম শহর, আর তিউনিসিয়া শান্ত নগরী। এখানেও পিএলও হচ্ছে এক অপ্রত্যাশিত আশ্রিত মেহমান।
ইসরাইল অধিকৃত গাজা ও পশ্চিম তীরে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় এক নতুন ধরনের গণঅভ্যুত্থান ‘ইন্তেফাদাহ’। এ আন্দোলনের ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা অংশগ্রহণ করে। এ নতুন লড়াই আনবিক শক্তিধর ইসরাইলি দখলদার বাহিনী বেকায়দায় পড়ে যায়। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ইন্তেফাদাহ সারা বিশ্বকে একটা ঝাঁকুনি দিল। ফলে ইসরাইল নেতৃবৃন্দ সামরিক দমন পরিহার করে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের পথ খুঁজতে শুরু করলো।
উপসাগরীয় যুদ্ধের পর ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে ৬ মার্চ মাদ্রিদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রসঙ্গ আসে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রতিষ্ঠার। ইতিমধ্যে ক্ষমতার পালাবদল ঘটে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে মধ্যপন্থি নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন আইজ্যাক রবিন। শিমন প্যারেজ পান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এদিকে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বিল ক্লিনটন এবং তার পররাষ্ট্র মন্ত্রী হন ওয়ারেন ক্রিস্টোফার। ইয়াসির আরাফাত নতুন নেতৃত্ব দেখে নতুন করে আশার আলো দেখেন। তিনি বুকে ভরসা নিয়ে পশ্চিম তীর ও গাজা নিয়ে স্বায়ত্তশাসনের আলোচনার সূত্রপাত করেন। আলোচনা ও দেন-দরবার চলতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক সবকিছু চলে। মধ্যস্থতার ভূমিকায় থাকে নরওয়ে। ইসরাইল ফিলিস্তিনের স্বয়াত্তশাসন মেনে নিতে রাজি হয়। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১৩ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুপাশে রবিন ও আরাফাত, মাঝখালে ক্লিনটন। এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। প্রথমবারের মতো আরাফাত একজন ইহুদির সঙ্গে করমর্দন করলেন।
ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে রবিনের আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় কায়রোতে। এটি ছিল শান্তিচুক্তি। চুক্তি অনুযায়ী তিউনিসিয়া ছেড়ে আরাফাতকে তার দলবদলসহ গাজায় আসতে হবে। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে আরাফাত ফিলিস্তিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। ফিলিস্তিন সীমান্তে হোসনে মোবারক তাকে অভিনন্দন জানান। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে ইয়াসির আরাফাত যোগদান করেন। সেখানে জোহান্সবার্গের বড় মসজিদে এক ভাষণে আরাফাত বলেন, ‘আল কুদসই (জেরুজালেম) হচ্ছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী। মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তা হিসেবে ইয়াসির আরাফাত ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯৭-৯৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে চলমান ইন্তেফাদাহ আন্দোলন আবার বেগবান হয়। ইয়াসির আরাফাত বারবার স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বাধার কারণে প্রতিবারেই ব্যর্থ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার পালাবদল হয়। ইসরাইলেও একই অবস্থা। দুই দেশের দুই কট্টরপন্থি সরকার ফিলিস্তিনি শান্তি আলোচনা বানচাল করে দেয়। ২০০১ খ্রিস্টাব্দে ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারের ঘটনায় ফিলিস্তিন প্রসঙ্গটি চাপা পড়ে যায়।
ইসরাইল ২০০২ খ্রিস্টাব্দ থেকে রামাল্লায় একটি গৃহে আরাফাতকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ইসরাইলীদের ওপর বোমা হামলাকারী জঙ্গিদের ধরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ না দিলে তাকে সেখান থেকে বের হতে দেওয়া হবে না বলে ইসরাইলি সরকার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। এ সময়ে তিনি ঠিকমতো চিকিৎসা নিতে পারেন নি। স্ত্রী-কন্যাও কাছে ছিল না। দীর্ঘ চার বছর অন্তরীণ জীবনে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। উল্লেখ্য ২০০১ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর থেকে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
ফিলিস্তিন মুক্তি সংগ্রামের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতা ছিলেন ইয়াসির আরাফাত। পিতৃভূমি দখলদার মুক্ত করতে তিলে তিলে নিঃশেষ করেছেন নিজেকে। শিশু-কিশোর, যৌবন-জীবনে সবকিছু তিনি উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন মাতৃভূমি স্বাধিকারের জন্য। ৪০ টি বছর তিনি সংগ্রাম করেছেন। নির্বাসিত জীবনের সব গ্লানি সহ্য করেছেন। এক দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বারবার নিয়েছেন মৃত্যুর ঝুঁকি। মোকাবিলা করেছেন নিত্যনতুন সমস্যা-সংকট। আরাফাত জীবনের প্রধান স্বপ্নই ছিল একটি স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্যে তিনি কখনো অস্ত্র হাতে নিয়েছেন, আবার কখনো বসেছেন আলোচনার টেবিলে। আজীবন লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি ছিলেন সর্বদাই আপোষহীন এক যোদ্ধা। অদম্য অনমনীয় আরাফাত সব ভয়কে তুচ্ছ করে সবসময় থেকেছেন অবিচল। তার সেই স্বপ্নের স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র দেখে যেতে পারলেন না।
সর্বশেষ তিনি ইসরাইলি সরকারের ষড়যন্ত্রের কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ২৪ অক্টোবর ২০০৪ তারিখে ফ্রান্সের সামরিক পার্সি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার ক্রমাবনতি থাকলে তিনি ১১ নভেম্বর ভোরে শেষ নিঃশেষ ত্যাগ করেন। পরদিন মিশরের রাজধানী কায়রোতে জানাযা শেষে তার মরদেহ জন্মভূমি ফিলিস্তিনের রামাল্লাতে আনা হয়। পিএলও সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতে পুনরায় জানাযা শেষে দাফন করা হয়। ফিলিস্তিন আমার আপনার সবার।
সেই ফিলিস্তিন নগরীর মধ্যমণি আল কুদস (জেরুজালেম) আজ নির্যাতিত, নিপতিত। ইসরাইল নামক ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটি’ মুসলমানদের ওপর তার বর্বরোচিত হোলিখেলায় মেতে উঠেছে। আর মুসলিম বিশ্ব নীরব হয়ে দেখতে থাকে একে একে মৃত্যুর কোলে ঢলেপড়া ফিলিস্তিনি, নারী, পুরুষ, শিশু, যুবক বৃদ্ধসহ বহু মানুষ। ইসরাইল সেই ১৯৪৮ সাল থেকেই ফিলিস্তিনিদের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বিরামহীনভাবে চলছে সেই হামলা-নির্যাতন। ইসরাইলের জুলুম-নির্যাতন থেকে ফিলিস্তিনি নিরীহ মানুষকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় সারা মুসলিম বিশ্বের এক কাতারে শামিল হওয়া। যেমনটি বলেছিলেন ফিলিস্তিনি ড. আলী রেযেগ। তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রতি বাংলাদেশি মানুষের, সরকারের এবং রাষ্ট্রের সাপোর্টকে অনেক গুরুত্বসহকারে স্মরণ করেন। বাংলাদেশি মানুষকে তিনি আরো বজ্রকণ্ঠে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনি এই একাডেমিশিয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশি ভাই বোনদের প্রতি আমার আহ্বান হলো, অনুগ্রহ করে আপনারা রাস্তায় নেমে আসুন। দলে দলে জমায়েত হয়ে বেশি বেশি মিছিল মিটিং করুন। র্যালি করুন। ফিলিস্তিনি মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিন যে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম তারা চালিয়ে যাচ্ছে তাতে বাংলাদেশি মুসলমানরাও তাদের পাশে আছে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ সব মুসলিম দেশের মুসলমান ভাইদের একত্রে, উচ্চস্বরে ইসরাইলকে জানিয়ে দেওয়া দরকার যে শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিরাই মসজিদে আকসার জন্য সংগ্রাম করছে না। তাদের পাশে আছে বাংলাদেশি, ভারতীয় এবং পাকিস্তানি ভাইয়েরাও। কারণ মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদে আকসা রক্ষার এই সংগ্রাম শুধু ফিলিস্তিনিদের একার সংগ্রাম না, এই সংগ্রাম সারা মুসলিম উম্মাহর সংগ্রাম। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, আমরা এক জাতি, আমাদের একই আওয়াজ, একই বার্তা এবং একই লক্ষ্য। আর তা হলো সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে একদিন আল আকসাকে মুক্ত করা।’
লেখক : শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক