ইসলামী চরিত্রের বৈশিষ্ট্য

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

ইসলামী চরিত্রের বৈশিষ্ট্য

  • প্রকাশিত ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯

ইসলাম এমন একটি পরিপূর্ণ জীবন পদ্ধতি, যা সব দিক থেকে সার্বিকভাবে মুসলমানের ব্যক্তিগত জীবনকে গঠন করার ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান করেছে। আর সে জন্যই ইসলাম চরিত্র তথা উত্তম চরিত্রকে ঈমানের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান বলে উল্লেখ করেছে। প্রিয় রসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনদের মধ্যে পরিপূর্ণ ঈমানদার হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যে তাদের মধ্যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিজি)। সুতরাং উত্তম চরিত্র হচ্ছে ঈমানের প্রমাণ ও প্রতিফলন। উত্তম চরিত্র ব্যতীত ঈমান প্রতিফলিত হয় না। তাই তো নবী করিম (সা.) সংবাদ দিয়েছেন, তাঁকে প্রেরণের অন্যতম মহান উদ্দেশ্য হচ্ছে মানব চরিত্রের উত্তম দিকগুলো পরিপূর্ণ করে দেওয়া। এ কারণেই মহান আল্লাহতায়ালা উত্তম ও সুন্দরতম চরিত্রের মাধ্যমে তাঁর প্রিয় হাবিবের প্রশংসা করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত।’ (সুরা আল-কালাম, আয়াত : ৪)। ইসলামে ইবাদতগুলো চরিত্রের সঙ্গে সংযুক্ত। আল্লাহতায়ালা এবং তাঁর রসুল (সা.) আমাদের যেসব ইসলামী চরিত্রের নির্দেশ দিয়েছেন, তার অন্যতম হচ্ছে সত্যবাদিতার চরিত্র। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় করো এবং তোমরা সত্যবাদীদের সাথী হও।’ (সুরা আত-তাওবাহ, আয়াত : ১১৯)।

মুসলমানদের যেসব ইসলামী চরিত্র অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার একটি হচ্ছে আমানতসমূহ তার অধিকারীদের নিকট আদায় করে দেওয়া। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন আমানতসমূহ তার হকদারদের নিকট আদায় করে দিতে।’ (সুরা আন নিসা, আয়াত : ৫৮)। ইসলামী চরিত্রের আরেকটি দিক হচ্ছে একজন মুসলমান তার অপর মুসলিম ভাইদের সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করবে। সে ধনী হোক বা গরিব। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তুমি তোমার বাহু মুমিনদের জন্য অবনত করে দাও।’ (সুরা আল হিজর, আয়াত : ৮৮)। রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা আমার নিকট ওহি করেছেন যে, তোমরা বিনয়ী হও যাতে একজন অপরজনের ওপর অহংকার না করে। একজন অপর জনের ওপর সীমালঙ্ঘন না করে।’ (মুসলিম)।

ইসলামী চরিত্রের অন্যতম একটি দিক হলো আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা। আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ওয়াজিব, আর তা ছিন্ন করা জান্নাত থেকে মাহরুম ও অভিশাপের কারণ।

মুফতি এহসানুল হক

লেখক : আলেম

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads