ইন্দুরকানীতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ইন্দুরকানীতে অধ্যক্ষের দুর্নীতির কারণে পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল হওয়ায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মানবন্ধন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

শিক্ষা

ইন্দুরকানীতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

  • ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯

ইন্দুরকানীতে অধ্যক্ষের দূর্নীতির কারণে কামিল পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল হওয়ায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী।

গতকাল বুধবার বিকালে উপজেলার টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসার সামনের পিরোজপুর-ইন্দুরকানী সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। এসময় কামিল পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিলের জন্য দায়ী দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ মোঃ দেলোয়ার হোসেন সহ দোষীদের শাস্তি দাবি করে বক্তব্য রাখেন মাওলানা শাহজাহান হাওলাদার, অভিভাবক খলিলুর রহমান হাওলাদার। মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ রাজ্জাক হাওলাদার, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এফ করিম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহ আলম, সোহরাব হাওলাদার অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

হঠাৎ কেন্দ্র বাতিল হওয়ায় ইন্দুরকানীর টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদরাসা কেন্দ্রের ১২২ জন কামিল পরীক্ষার্থী ভান্ডারিয়া উপজেলার আল-গাজ্জালী ইসলামীয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ায় অভিভাবকরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। গত মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে একযোগে কামিল (স্নাতকোত্তর) ১ম ও ২য় বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কেন্দ্র বাতিল হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা যাতায়াতের জন্য ভোগান্তিতে পড়েছে।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ফাজিল ২য় বর্ষের পরীক্ষায় প্রাইভেট ভর্তির অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও উপজেলার টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মোঃ দেলোয়ার হোসেন ইলিয়াছ নামে এক পরীক্ষার্থীকে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসাবে ফরম পূরণ করান। কিন্তু তার প্রবেশপত্র না আশায় কেন্দ্র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অধ্যক্ষ মোঃ দেলোয়ার হোসেন তার পরীক্ষা নিলেও ওএমআর ও উত্তরপত্র না পাঠিয়ে শুধু স্বাক্ষরলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান। এ অপরাধে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মকর্তার সরেজমিনে অধিকতর তদন্তের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ দেলোয়ার হোসেন হাওলাদারকে ফাজিল (স্নাতক) পাস এবং কামিল (স্নাতকোত্তর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ দেলেয়ার হোসেন হাওলাদার কে আজীবনের জন্য অব্যহতি দেয়া হয়। এর সাথে জড়িত অন্য দুই প্রভাষক মোঃ ইউসুফ আলী ও সাইফুল ইসলাম এবং অফিস সহকারী মোঃ মাহবুবুল আলমকে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা থেকে আজীবনের জন্য অব্যাহতি দেয়া হয়।

এছাড়া ও টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদরাসার কামিল ও ফাজিল পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads