মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট ব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ব্যবহারকারীরা গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন। যারা ব্রাউজারটিকে ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে ব্যবহার করছেন, তারাই এ ঝুঁকিতে আছেন বলে সতর্ক করেছে মাইক্রোসফট।
এক ব্লগ পোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, পুরনো ওয়েব ব্রাউজার এক্সপ্লোরার ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়। কেননা, ব্রাউজটি এখন মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে।
ওই ব্লগপোস্টে মাইক্রোসফট গ্রাহকরা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন। যখন বেশিরভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গুগল ক্রোম, ফায়ারফক্স বা মাইক্রোসফট এজ বেছে নিয়েছেন তখনো অনেকেই কিছু কিছু কাজে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করছেন।
ব্লগ পোস্টে বলা হয়েছে, ১৯৯৫ সালে আত্মপ্রকাশ করে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। এরপর ওয়েব ব্রাউজারটির নতুন কোনো সংস্করণ চালু করা হয়নি। সফটওয়্যারটির ক্রমাগত ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
গুগল ক্রোম ও অ্যাপলের সাফারি বাজার দখলের পাশাপাশি ব্যবহারকারী ও ডেভেলপারদের কাছে দিন দিন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আবেদন ফিকে হয়ে আসতে শুরু করে। ২০১৬ সালে এক্সপ্লোরারকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার হয়ে ওঠে গুগল ক্রোম। কিন্তু তারপরও থেমে থাকেনি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ব্যবসায়িক ব্যবহার।
এদিকে ২০১৫ সালে চালুর পর থেকেই এক্সপ্লোরার বাদ দিয়ে মাইক্রোসফট এজ ব্যবহারে গ্রাহকদের উৎসাহিত করে আসছে মাইক্রোসফট। তারপরও ইন্টারনেটে প্রবেশের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের প্রায় ৫ দশমিক ৫ শতাংশ ভোক্তাই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করেন। এমন ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে মাইক্রোসফট বলছে, নতুন ওয়েবের মান অনুযায়ী ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে আমরা কোনো সেবা দিচ্ছি না। যদিও অনেক ওয়েবসাইট এই ব্রাউজারে বেশ চলছে। পুরনো সফটওয়্যারের সমর্থনে যারা এখনো ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করছেন তারা কারিগরি ঝুঁকিতে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জানুয়ারির পর থেকে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে মাইক্রোসফট।
