ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড পেল ১৯ উদ্ভাবন

সংগৃহীত ছবি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড পেল ১৯ উদ্ভাবন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২১ অক্টোবর, ২০১৮

বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভ (বিআইসি) আয়োজিত বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড সেরা উদ্ভাবনের পুরস্কার পেয়েছে ১৯টি প্রকল্প। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৃজনশীল উদ্ভাবনকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে উদ্ভাবনী শক্তিকে উদ্দীপ্ত করে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিকাশের ক্ষেত্রে উদ্যোগটি একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।

বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডে ৯টি মূল ক্যাটাগরিসহ আরেকটি বিশেষ ক্যাটাগরিতে মোট ১৬৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। বিজয়ী এবং বিশেষ উল্লেখ্য এ দুটি ক্যাটাগরির অধীনে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বিজয়ীদের নির্বাচন করার জন্য দুটি জুরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশের প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞদের দ্বারা মনোনয়নগুলো মূল্যায়ন করা হয়। পণ্য, সেবা কিংবা প্রক্রিয়া খাতে যেকোনো ধরনের অগ্রগতি, তাদের নতুনত্ব, বাজারের চাহিদা, অর্থনৈতিক প্রভাব- এ কয়েকটি মানদণ্ডের ওপর এবারের ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডের প্রধান ক্যাটাগরিগুলো ছিল ক্ষেত্রভিত্তিক যেখানে বিবেচিত হয়েছে- আর্থিক খাত, পোশাক খাত, স্বাস্থ্যসেবা, এসডিজি অন্তর্ভুক্তকরণ, প্রক্রিয়া, পণ্য উন্নয়ন, স্টার্টআপ, সামাজিক ও প্রযুক্তি খাত। এ ছাড়া মাস্টার অব রিইনভেনশন নামে একটি বিশেষ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আগে সেখানে আরো অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ইনোভেশন ডায়ালগ যেখানে দেশি-বিদেশি বক্তারা কথা বলেন। ছিল দুটি কি-নোট সেশন এবং দুটি প্যানেল আলোচনা। আলোচনায় দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবন বিশেষজ্ঞ এবং করপোরেট কর্মকর্তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন। কি-নোট সেশনের বক্তা ছিলেন মাস্টার কার্ড ল্যাব-এশিয়া প্যাসিফিকের ইনোভেশন ম্যানেজমেন্টের পরিচালক বরুণ সখুজা এবং নিয়েলসন দক্ষিণ এশিয়ার নির্বাহী পরিচালক মনোজ কুলকার্নি।

প্যানেল আলোচকরা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি অ্যাফেয়ার্সের প্রিন্সিপাল কো-অর্ডিনেটর মো. আবুল কালাম আজাদ, আমরা টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ, বেসিস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির, বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, ডেটাসফট সিস্টেমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান।

অনুষ্ঠানটি আয়োজনে অংশীদার হিসেবে ছিল আইসিটি বিভাগ, ইউএসএআইডি এবং ইউএনডিপি। এ ছাড়াও স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে ছিল বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম এবং বেসিস।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads