আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের দুই সহস্রাধিক প্রতিনিধিসহ লাখো লাখো মুসল্লির মহাসমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ধর্মীয় সমাবেশ শেষ হচ্ছে।
আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করছেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ বুজুর্গ ও কাকরাইল মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের। আজ রবিবার এই মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার জুবায়েরপন্থীদের পর্ব।
জুবায়েরপন্থীদের ইজতেমা পালনের চার দিন পর ১৭ই জানুয়ারি শুরু হবে ইজতেমার সাদপন্থীদের পর্ব। এতে নেতৃত্ব দেবেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। যা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ১৯শে জানুয়ারি সমাপ্তি ঘটবে।
ইজতেমার প্রথম পর্বে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চাঁদ, ইথিওপিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, খিরকিজস্তান, মালয়েশিয়া, মরক্কো, নেপাল, কেনিয়া, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, জর্দান, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন।
বিভিন্ন ভাষা-ভাষী ও মহাদেশ অনুসারে ইজতেমা ময়দানে বিদেশি মেহমানদের ভিন্ন ভিন্ন তাঁবু নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
শীতের বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমাস্থলের উদ্দেশে সকাল থেকে বাসে, ট্রেনে বা হেঁটে রওনা হয়েছেন মুসল্লিরা। এর মধ্যে বিদেশি মেহমানসহ ইজতেমাস্থলে সমবেত হয়েছেন লাখো মুসল্লি। ইজতেমার নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে, অসুস্থ হয়ে এ পর্যন্ত ইজতেমায় মারা গেছেন সাত মুসুল্লি। ইজতেমার জন্য বিশেষ ট্রেন চালু রয়েছে এবং প্রতিটি ট্রেন টঙ্গী রেলওয়ে জংশনে দুই মিনিট করে যাত্রাবিরতি করবে।