মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ট্রলার ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়নের চর পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্যের হামলায় ওই বৃদ্ধ নিহত হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. আলীম সরকার(৬৫)। সে ওই এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম রিয়াদুল হাকিম। সে শিলই ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য।
নিহতের ভাগিনা নিজাম বেপারী বলেন, আমার ছোট ভাই মহিউদ্দিন ব্যাপারি দিঘিরপার বাজার থেকে চরপাড়া এলাকা পর্যন্ত ভাড়ায় ট্রলার চালায়। দিঘিরপার বাজার থেকে চর বেহের পাড়া এলাকায় আসতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগে। জনপ্রতি ভাড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা। রিজার্ভ নিয়ে আসলে কমপক্ষে ৫০০ টাকা দেওয়ার কথা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আমাদের ওয়ার্ড সদস্য রিয়াদুল ইসলাম হাকিম মহিউদ্দিনের ট্রলারে বসেন। সে সময় তিনি মহিউদ্দিনকে যাত্রী না নিয়ে ট্রলার চালাতে বলেন। এলাকায় এসে আমার ভাইকে ১০০ টাকা ভাড়া দেন। আরো ভাড়া দাবি করলে মহিউদ্দিনকে চড়, থাপ্পড়, কিল ঘুষি মারেন ইউপি সদস্য রিয়াদুল হাকিম।
বাড়িতে এসে বিষয়টি আমাদের ও আমার মামা আলীম সরকারকে জানায় মহিউদ্দিন। আমার মামা এ ঘটনার বিচার চেয়ে চিৎকার করেন। ঘটনাটি শুনতে পেয়ে রিয়াদুল ইসলাম হাকিম তার লোকজন নিয়ে বেলা বারোটার দিকে আমাদের বাড়িতে আবারো হামলা চালায়। সে সময় আমার ভাই,তার স্ত্রী ও আমাদের পেটানো শুরু করেন। মামা আমাদের রক্ষা করতে যান। তাকে কিল-ঘুষি-লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন।তাকে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে মাড়াতে থাকেন। মামাকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই দুপুর দুইটার দিকে মারা যান।আমরা মামার হত্যার বিচার চাই।
ইউনিয়নটির সংরক্ষিত নারী সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা রুমা আফরোজ বলেন, ঘটনাটি শুনতে পেরেছি। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে সামান্য ট্রলার ভাড়ার জন্য একটি পরিবারের উপর দুই দফা হামলা চালানো হলো। পরিবারের অভিভাবক আলীম সরকার পরিবারের অন্য সদস্যদের রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন। এমন কাজকে ঘৃণা জানাই। আমরা এই দোষী জনপ্রতিনিধির বিচার চাই।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক( তদন্ত) মাে. রাজিব খান বলেন, ঘটনাটি জানার পর পুলিশ সেখানে যায়। এ ঘটনার পর থেকে ইউপি সদস্য পলাতক রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
