ইউটিউবে সফলতা দেখছেন দাকোপের সুরঞ্জিত

ছবি : প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সোশ্যাল মিডিয়া

ইউটিউবে সফলতা দেখছেন দাকোপের সুরঞ্জিত

  • দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

বছর খানেক আগে ইউটিউবে নিজ অ্যাকাউন্টে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন খুলনার দাকোপ উপজেলার রামনগর গ্রামের বাসিন্দা সুরঞ্জিত গাইন জিৎ। মিনিট চারেকের সে ভিডিওর নাম দিয়েছিলেন ‘কেনো তোকে চাই’। জিতের প্রথম ইউটিউব অ্যাকাউন্ট ‘দাকোপ মিডিয়া সেন্টার (ডিএমসি) বিডি’ নামের সে চ্যানেলে মাত্র ১৭টি ভিডিও আছে। ‘ফানি ভিনেস টিভি’ নামে আরেকটি ইউটিউব চ্যানেল আছে তার। চ্যানেল দুটির ভিডিওগুলোই তার আয়ের উৎস।

তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে ইন্টারনেটে দিন দিন বাড়ছে তরুণদের অংশগ্রহণ। বিনোদনের উৎস হিসেবে তরুণরা বেছে নিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। এক্ষেত্রে শহরের তরুণদের পাশাপাশি পিছিয়ে নেই গ্রামের তরুণরাও। দেশের সর্বত্র ইন্টারনেট ব্যবস্থা এবং হাতের নাগালে সুলভ মূল্যে প্রযুক্তির কল্যাণে এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুণদের কাছেও ফেসবুকের পাশাপাশি ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম বেশ পরিচিত। এতে সাবস্ক্রাইবারের দিক থেকে অল্পদিনেই বেশ এগিয়ে আছে তরুণ উদ্যোক্তা সুরঞ্জিত গাইন জিতের চ্যানেল ‘ডিএমসি বিডি’। চ্যানেলটির বর্তমান সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। তার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের মাইলফলকও অতিক্রম করে চলছে।

তরুণ এ উদ্যোক্তা ইউটিউবে আয়ের উপায় সম্পর্কে জানান, ‘ইউটিউব অ্যাডসেন্স’ থেকে ইউটিউবে আয় করা যায়। এক্ষেত্রে ভিডিওর উপরে, নিচে অথবা পাশে বিভিন্ন পণ্যের কিংবা প্রতিষ্ঠানের ছোট ছোট বিজ্ঞাপন শো করা হয়। দ্বিতীয়ত, ‘এফিলিয়েট মার্কেটিং’, যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট রিভিউ করে উপার্জন করা হয়। তৃতীয়ত, ‘স্পন্সরশিপ’, এক্ষেত্রে টেলিভিশনের মতো ভিডিওর শুরু, শেষে কিংবা মাঝখানে কোনো প্রতিষ্ঠান বা পণ্যের বিজ্ঞাপন উপস্থাপন করে উপার্জন করা যায়।

ইউটিউবার সুরঞ্জিত গাইন জিৎ খুলনা খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র। ছোটবেলা থেকে তার স্বপ্ন ছিল পরিচিতির সঙ্গে মানুষের মধ্যে মেলে ধরা। তাই তিনি এ উদ্যোগ নেন। জিৎ বলেন, শুটিং ও ভিডিও তৈরির জন্য যথেষ্ট সরঞ্জামাদি না থাকায় প্রথম দিকের বানানো ভিডিওগুলো মানুষের কাছে হয়তো গ্রহণযোগ্যতা পেত না। তবে আগ্রহ ও সফল হওয়ার প্রচেষ্টা দেখে স্থানীয় সাবেক সাংসদ ননী গোপাল মণ্ডলের ছেলে দীপ্ত মণ্ডল তাকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads