রাশিয়ার অভিযানের পর এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে ১১২ জন শিশু নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৯ মার্চ) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলজাজিরার লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১১২ শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৪০ জন শিশু।
এদিকে যুদ্ধের ২৪তম দিনেও ইউক্রেনের দক্ষিণের শহর মাইকোলেইভের সামরিক ঘাঁটির দুটি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। হামলায় অনেক সেনা নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দু’দিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
চলমান এই যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৪ হাজার ৪০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৮১৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা