বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর সদর-হাইমচর) আসনের নৌকা মার্কায় প্রার্থী ডা. দীপু মনিকে ভোট দিতে চাঁদপুর শহরের স্বর্ণখেলা রোডস্থ হরিজন জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে উঠোন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উঠান বৈঠকে শত-শত নারী পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন।
শুক্র বার (২১ ডিসেম্বর) রাতে এ উঠোন বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ দীপু মনি বলেন, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর এলাকায় বিগত দিনে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। একইসাথে ৫০ হাজার টাকা কোটি টাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে কাজ হবে। নৌকা মার্কাকে জয়যুক্ত করলে আপনাদের সকল কাজের সমাধান হবে। হরিজনদের এই সমাজে চাকরির সমস্যা, বিদ্যুতের সমস্যা, গৃহের সমস্যার মতো অনেক বিষয়েই সমস্যা রয়েছে। বিদ্যুতের পরিবর্তে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। থাকার ঘরগুলোর জরাজীর্ণতা দেখার জন্য জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ রয়েছে। হরিজনদের নিশ্ব ও মধ্যবিত্ত পরিবারদের সমস্যা সমাধানে তারা যাতে কাজ করে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কাজের ব্যবস্থা করে দেয়া সম্ভব হবে। এভাবে হরিজনদের ছোট ছোট সব সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে। নির্বাচনের পর এগুলো করে দেয়ার চেষ্টা করবো।
দিপু মনি আরো বলেন, নদী ভাঙ্গন রোধে ১৯ কিলোমিটার বাধ নির্মাণ করা হয়েছে। চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে ১শ’ ১৫ বছর পর ২শ’ ৭৮ কোটি টাকার রেল লাইনের উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। চাঁদপুর হাইমচরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো চাঁদপুর-হাইমচরের নদীর বাঁধ নির্মাণ করা, রেল লাইন আধুনিকায়ন করা, নৌ-টার্মিনাল আধুনিকায়ন করা। এ ধরনের বড় বড় কাজগুলো কিছু করা হয়ে গেছে আর বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মন্দির, মসজিদ করেছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য চাঁদপুরে অর্থনৈতিক পর্যটন এলাকা গড়ে তোলা হবে। চাঁদপুরে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক পরিকল্পনা রয়েছে তা করা সম্ভব। আর এগুলো গড়ে তুলতে পারবে যারা একটানা ১০ বছর উন্নয়ন করেছে সেই আওয়ামী লীগ সরকার। তাই সবাইকে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানাই। তিনি চাঁদপুর-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী মানিকের সমালোচনা করে বলেন, হাইমচরে নদীর বাঁধের ওপর দাড়িয়ে তিনি নাকি বলেন, বাঁধ নির্মাণ করবেন! হাইমচরে নাকি কোন নদী রক্ষার বাঁধ নাই! তিনি নির্বাচিত হলে নাকি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করবেন। কথা-বার্তার কোন ঠিক নাই। এদের মিথ্যা কথায় মানুষ আর নড়বে না। এ সময় তিনি চাঁদপুরে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মত কাজগুলো করে দিতে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট চান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা অজয় কুমার ভৌমিক, সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীর হোসেন পাটোয়ারী, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার, সহ-সভাপতি অজিত সাহা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুর রহমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সদস্য ও আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শওকত আলী, সাবেক কাউন্সিলর রেবেকা সুলতানা বকুল, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার, চাঁদপুর হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র হরিজনের সভাপতিত্বে এবং হরিজন সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আকাশ দাসের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, হেলা সমাজ পঞ্চায়েত কমিটি সভাপতি শ্যামল হরিজন, কোষাধ্যক্ষ বিধান চন্দ্র দাস জনি, হরিজন ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক খোকন হরিজন, হরিজন উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিরা সরকার মুন্না প্রমুখ। এ সময় চাঁদপুর রেলওয়ে, পুরাণবাজার ও স্বর্ণখোলা হরিজন কলোনির ৫ শতাধিক পরিবারবর্গের নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
