ইতালির রোম থেকে দেশে ফেরা ১৪২ জন বাংলাদেশির পর দেশটি থেকে আসা আরও ৩৪ জনকে নেয়া হচ্ছে আসকোনা হজক্যাম্পে। যদিও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে অস্বীকৃতি জানায় পূর্বে আসা যাত্রীরা।
১৭ কোটি মানুষের স্বার্থে ইতালিফেরতদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার আহ্বান জানিয়েছে আইইডিসিআর। এছাড়া আরও দেড় শতাধিক মানুষের আগামীকাল ইতালি থেকে ফেরার কথা রয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই দেশটিতে একশ' থেকে ২শ' মানুষের প্রাণ হারাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় শনিবার ইতালি থেকে দুবাই হয়ে ১৪২ জন বাংলাদেশিকে বহনকারী, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। প্রাথমিকভাবে তাদের শরীরে করোনার কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
পরে প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে তাদের হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। কিন্তু ইতালি থেকে আসা ১৪২জন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে অস্বীকৃতি জানায়। হজ ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এমনকি তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাসদস্যও মোতায়েন করা হয়।
এদিকে, ১৭ কোটি মানুষের স্বার্থে ইতালি থেকে আসাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার আহ্বান জানান আইইডিসিআর পরিচালক।
আইইডিসিআর পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ১৭ কোটি মানুষের উপকারের জন্য তাদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বিদেশ থেকে যারা এসেছেন তারা যেনো ঘরের মধ্যে অবস্থান করেন।
আইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন পাশাপাশিই হবে। যদি এদেরকে আমরা তথ্য সংগ্রহের পর আমরা দেখি যে তারা বাড়িতে গিয়ে সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন করতে পারবে তাহলে তারা বাড়িতে যাবে। এদের মধ্যে কারো সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে যদি সমস্যা হয় তাহলে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করা হবে।
এদিকে সারাদেশে হোম কোয়ারেন্টাইন বাস্তবায়নে প্রশাসনের সহায়তার নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।