বিগত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় আবারো শুরু হয়েছে জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন। এবারের মূল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ ও ২০ জুন। দুটি গ্রুপে প্রতিযোগিতা হবে। এর একটি তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং এবং অন্যটি ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পাইথন প্রোগ্রামিং।
মূল প্রতিযোগিতার আগে দুদিন করে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেজন্য ১৫ ও ১৬ জুন স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামারদের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তারপর ১৭ জুন তাদের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা হবে। অন্যদিকে ১৮ ও ১৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে পাইথন প্রোগ্রামারদের জন্য প্রশিক্ষণ। আর তাদের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে ২০ জুন। জেলাভিত্তিক নির্ধারিত ২০০ ল্যাবে এসব প্রতিযোগিতা হবে বলে জানায় আয়োজকরা।
‘অবাক হচ্ছে বিশ্ব এবার, বাংলার শিশুরা প্রোগ্রামার’ স্লোগান নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং ইয়াং বাংলা। এবারের আয়োজনটি গত বছরের চেয়ে বড় হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে ২০০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। যে কোনো বিদ্যালয়ের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য স্ক্র্যাচ এবং ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাইথনের প্রোগ্রামিং নিয়ে এসব ভেন্যু থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। নিবন্ধন করা যাবে ২৬ মে পর্যন্ত। এর আগে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাটিতে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারলেও এবার থেকে আর সেটি পারবে না। তবে সদ্য মাধ্যমিক পাশ করা শিক্ষার্থীরা চাইলে অংশ নিতে পারবেন বলেও জানায় আয়োজকরা।
আয়োজনকে সফল করতে ইতোমধ্যে গত ২২ ও ২৩ মে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা। এতে নির্বাচিত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের আইসিটি শিক্ষক, ইয়াং বাংলা থেকে ল্যাব কোর্ডিনেটর ও জেলা কোর্ডিনেটররা অংশ নেয়। দুদিনের কর্মশালায় তাদেরকে পাইথন ও স্ক্র্যাচ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এখন শুরু হচ্ছে প্রতিযোগিতার জেলা ক্যাম্পিং।
প্রতি ল্যাবে ৭৫ জন করে অন্তত ১৫ হাজার শিক্ষার্থীকে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে জানান আয়োজকরা। স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিংয়ের জন্য তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ১৫ জন করে বাছাই করে পাঁচটি দলে, একইভাবে পাইথনের জন্য ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে একই সঙ্গে একই সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।
প্রতি জেলা থেকে একটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে এবং সব জেলা থেকে প্রাপ্ত বিজয়ীদের নিয়ে পরে দুই দিনব্যাপী স্ক্র্যাচ এবং পাইথনের জন্য দুটি ভিন্ন জাতীয় ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে। প্রতিটি জাতীয় ক্যাম্পের প্রথম দিনে প্রশিক্ষণ এবং দ্বিতীয় দিনে জাতীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ক্যাম্পের তারিখ ও সময় পরে জানানো হবে।