চলচ্চিত্রের জীবন্ত দুই কিংবদন্তি এটিএম শামসুজ্জামান ও শবনম। দুজন একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিতেও অভিনয় করেছেন। প্রায় ত্রিশ বছর পর সর্বশেষ তারা দুজন নায়করাজ রাজ্জাক পরিচালিত ‘প্রেম শক্তি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। এরপর অবশ্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একাধিকবার দেখা হয়েছে তাদের। গেল সপ্তাহে রাজধানীর বারিধারায় শবনমের বাসায় আড্ডায় মেতেছেন শবনম ও এটিএম শামসুজ্জামান।
তাদের সেদিনের আড্ডায় উঠে এসেছে বিভিন্ন প্রসঙ্গে। হয়েছে স্মৃতিচারণও। এ প্রসেঙ্গ এটিএম শামসুজ্জামান বলেন, ‘শিল্পীর কোনো নির্দিষ্ট গণ্ডি নেই। অভিনয়ের প্রয়োজনে একজন শিল্পী দেশ পেরিয়ে যেকোনো দেশের ছবিতে কাজ করতে পারেন। আমাদের শবনম তেমনই একজন শিল্পী যার শুরু হয়েছিল এই দেশের ছবিতে অভিনয় করে। এক সময় পাকিস্তানের শীর্ষ নায়িকা ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি যখন দেশে আসেন তখন তাকে নায়করাজ রাজ্জাক এবং কাজী হায়াৎ তার মেধার মূল্যায়ন করেছিলেন। শবনম আমাদের চলচ্চিত্রের গর্ব। তার মতো এমন মহান শিল্পীকে আমরা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারিনি, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। একজন শিল্পীর চলে যাওয়ার পর তাকে মূল্যায়ন করার মধ্যে আমি গর্বের কিছু দেখি না। শবনম আমাদের চলচ্চিত্র পরিবারের গর্ব। আমার খুব প্রিয় একজন শিল্পী শবনম।’
এটিএম শামসুজ্জামান শবনমকে স্নেহ করতেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটিএম ভাইয়ের সঙ্গে আমি খুব বেশি ছবিতে কাজ করিনি। কিন্তু তিনি আমাকে সব সময়ই খুব স্নেহ করেন। আমাদের মধ্যে দেখা হয় খুবই কম। কিন্তু আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা বেশ মধুর। তিনি আমার বাবার মতোই। তাকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি। এমন গুণী একজন শিল্পীর সাহচর্যে আসতে পারার মধ্যেও আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। কারণ তিনি আমাদের চলচ্চিত্রের বটবৃক্ষ। রাষ্ট্র যখন তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে তখন আমি ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। আমি তার সুস্থতা কামনা করি সবসময়।’
