আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রায় দুই শতাধিক নির্বাহী হাকিমকে মাঠে নামাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা ভোটের মাঠে থাকবেন। তাদের মূল কাজ হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা।
নির্বাহী হাকিমদের মাঠে নামানো সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন সচিবকে পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, দুই সিটিতে এবার ১৭২ জন নির্বাহী হাকিম নিয়োগ করা হচ্ছে। এদের মধ্যে ডিএনসিসিতে ৭২ জন আর ডিএসসিসিতে ১০০ জন দায়িত্ব পালন করবেন। আজ ২৪ ডিসেম্বর থেকেই দুই সিটির ভোটের এলাকা চষে বেড়াবেন ৪৩ জন। তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। আর ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২৯ জন দায়িত্ব পালন করবেন।
জনপ্রশাসন সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে- ‘দুই সিটি নির্বাচনে নির্বাহী হাকিমরা মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ অনুযায়ী নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ ও স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) বিধিমালা-২০১০ অনুযায়ী, নির্বাচনী অপরাধ রোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালানার জন্য ভোটের পরের দিন অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।’
ইসির উপ-সচিব আতিয়ার জানান, নির্বাহী হাকিম ছাড়াও ভোটের দুইদিন আগে বিচারিক হাকিম নিয়োগ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতি তিন ওয়ার্ডে একজন করে বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন। দুই সিটিতে বিচারিক হাকিম থাকবেন ৪৩ জন। এদের মধ্যে উত্তর সিটিতে ১৮ জন এবং দক্ষিণ সিটিতে ২৫ জন দায়িত্ব পালন করবেন।
৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ডিএনসিসি গঠিত। এ নির্বাচনে এক হাজার ৩৪৯টি ভোটকেন্দ্রের সাত হাজার ৫১৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। মোট ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। অপরদিকে ডিএসসিসিতে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড রয়েছে। এ নির্বাচনে এক হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের পাঁচ হাজার ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই আগামী ২ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি।
 
                                 
                                 
                                         
                                         
                                         
                                        





