সরকারের সঙ্গে ফের সংলাপে বসে দেশের চলমান পরিস্থিতি সমাধান করতে চায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এজন্য সংলাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। গতকাল শনিবার বিকালে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও গণফোরামের প্রশিক্ষণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক এ চিঠি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেন। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি কমিশন। আজ রোববার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ড. কামাল হোসেনের চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর চলমান সংলাপের বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, আপনারা প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের বিষয়টি অবগত আছেন এবং সেদিকে নজর রাখছেন। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা মনে করি তফসিল ঘোষণার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি চলমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। এজন্য আবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসতে চান ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ৪ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। ওইদিন তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।’
এদিকে গতকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘এ সপ্তাহে তফসিল করার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। আশা করছি এই সপ্তাহে ঘোষণা হবে। কালকে (রোববার) চূড়ান্ত বৈঠকটি হবে। ওখানে বিস্তারিত তফসিল নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হবে। ওই বৈঠকে তফসিলের চূড়ান্ত হবে কি না, তা জানা যাবে।’ এ সময় তিনি জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি কমিশনের রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংলাপ শেষ না হওয়ায় নির্বাচনের তফসিল পরে ঘোষণার আবেদন প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘আমরা ঐক্যফ্রন্টের চিঠি এখনো পায়নি। এটা অফিসে পৌঁছেছে কি না, আমার জানা নেই।’
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সচিব হিসেবে আমি অবহিত হইনি, কমিশনও অবহিত হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি। চিঠি যদি এসে থাকে তাহলে আগামীকাল (রোববার) যে কমিশনের মুলতবি সভা রয়েছে, সেখানে উপস্থাপন হবে।’