আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হতে পারে ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে। এর মধ্যে ভোটগ্রহণ না হলে সেটি গড়াবে ২৩ ডিসেম্বরে। মাঝের দুদিন শুক্র-শনি সাপ্তাহিক ছুটির দিন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে প্রস্তুতি দেখে এ তারিখগুলোতে ভোট গ্রহণের সম্ভাবনার কথা জানালেন বিশ্লেষকরা। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আপাতত ইসি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ চূড়ান্ত করা ছাড়াই একটি খসড়া একটি তফসিল তৈরি করেছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার পর ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ সাব্যস্ত করা হবে।
ইসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার তফসিল ঘোষণার পর কমপক্ষে ৪৫ দিন হাতে রেখে নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করার কাজ চলছে। এ কারণে প্রাথমিকভাবে ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বরের যেকোনো এক দিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে। তবে এই ৩ দিনের মধ্যে না হলে নির্বাচনের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর হবে। কারণ ২১ ও ২২ ডিসেম্বর শুক্র ও শনিবার থাকবে বন্ধ। ইসির কর্মকর্তারা জানান, তফসিল নিয়ে কমিশনের যে ধরনের প্রস্তুতি তাতে ২০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের সম্ভাবনাকেই তীব্র করে তুলেছে। বাংলাদেশের অতীতের নির্বাচনগুলোর তফসিল ঘোষণার পর ভোটগ্রহণ পর্যন্ত সর্বনিম্ন ৪২ দিন রাখা হয়েছে। তবে তফসিল থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত সময় রাখার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট বিধান নেই। নির্বাচন কমিশনই ‘যৌক্তিক সময়’ নির্ধারণ করে। রীতি অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।
ইসি সূত্র জানায়, সিইসি কে এম নুরুল হুদা ও চার কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন ও কবিতা খানম আগামী ১ নভেম্বর রাষ্টপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ২ ও ৩ নভেম্বর থাকবে সাপ্তাহিক ছুটি। ৪ নভেম্বর রোববার কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং বৈঠকের পর পরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
অন্যদিকে ইসি সূত্র জানায়, তফসিল ৬ নভেম্বরের মধ্যেই হবে। এর মধ্যে ৪ নভেম্বর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, তবে তা চূড়ান্ত নয়। এ বিষয় গতকাল ইসির সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, তফসিল কবে ঘোষণা হবে বা কবে ভোটগ্রহণ হবে, এসব বিষয় নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। ১ নভেম্বর বিকাল ৪টায় কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। পরে নির্বাচনের তফসিল ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।
সূত্রমতে, ৪ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে কি না, সেটা অনেকাংশেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে। ইসির সম্ভাব্য প্রস্তাবে কোনো পরিবর্তন না এলে ৪ নভেম্বরই তফসিল ঘোষণা করা হবে। সে ক্ষেত্রে ১ নভেম্বর কমিশন সভার নোটিস দেবে।